• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মেয়েকে খুন করে ‘ভূতের গল্প’ সাজালো পরকীয়া আসক্ত মা

প্রকাশ:  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মাকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলেছিল ছয় বছরের মেয়ে কাজল। আর সেটি বলে দিতে চেয়েছিল বাবাকে। শেষ পর্যন্ত মা আর তার প্রেমিকের হাতে প্রাণ হারাতে হয় শিশুটিকে। হত্যার পর সাজানো হয় ‘ভূতের গল্প’। ভারতের দিল্লির গাজিপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় মা মুন্নি দেবী (৩০) ও তার প্রেমিক সুধীরকে (২২) আটক করা হয়েছে। খবর: জিনিউজ চব্বিশ ঘণ্টা।

.পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এক পরিবার এসে জানায় তাদের ছয় বছরের মেয়ে কাজলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাপক তল্লাশির পর বাড়ির পাশের আবাসনের ছাদে তার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা।

সম্পর্কিত খবর

    মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হতেই ‘ভেঙে পড়েন’ মা মুন্নি দেবী। তিনি পুলিশকে জানান, প্রতিদিনের মতই বিকেলে খেলতে গিয়েছিল কাজল। ওই সময় তিনি ঘরে স্বামী ও অপর দুই সন্তানের সঙ্গে ছিলেন।

    শিশুটির মা বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও কাজল ঘরে না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। কাজলের বন্ধুদেরকে তার কথা জিজ্ঞেস করতে তারা জানায়, কাজল ‘ভৌতিক’ কিছু দেখে এগিয়ে যায়। তারপর আর তাদের সঙ্গে খেলতে আসেনি।

    তবে তার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। শেষ পর্যন্ত টানা জেরার মুখে বৃহস্পতিবার মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেন মুন্নি দেবী।

    জেরায় মুন্নি দেবী জানান, কাজল ছাদে খেলছিল। ওই সময় প্রেমিক সুধীরের সঙ্গে তাকে দেখে ফেলে কাজল। তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে দৌড়ে গিয়ে তার বাবাকে সেকথা জানাতে যাচ্ছিল কাজল।

    তবে প্রেমিক সুধীরকে নিয়ে কাজলকে ধরে ফেলে ফের ছাদে নিয়ে আসেন মুন্নি দেবী। দুজনে মিলে মেয়ে কাজলকে খুনের পরিকল্পনা করেন। কাজলকে গলাকেটে হত্যার পর মৃতদেহটি পাশের আবাসনের ছাদে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়।

    এরপর সুধীর পালিয়ে যায়। আর মুন্নি বাড়ি ফিরে মেয়েকে খোঁজার ভান করতে শুরু করেন।

    দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) ওমবীর সিং বলেন, অভিযুক্ত মুন্নি ও সুধীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close