• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

থাইল্যান্ডের নতুন সেনাপ্রধান

প্রকাশ:  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল অপিরাত কংসমপং (৫৮)। সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ওচার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। নতুন এই সেনাপ্রধানের হাত ধরে সেনাশাসিত দেশটিতে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। শেষ হতে পারে গত পাঁচ বছরের সেনাশাসন।

ফার্স্ট আর্মি রিজিওনের প্রথম পদাতিক বিভাগের কিংস গার্ড বাহিনীর একজন বিচক্ষণ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল অপিরাত কংসমপং শুক্রবার সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খবর রয়টার্সের।

সাবেক জেনারেল সুনথর্ন কংসমপংয়ের ছেলে অপিরাত। সুনথর্ন ১৯৯১ সালে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৯২ সালে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেন তিনি।

এরপর ২০১৪ সালে ফের সামরিক অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ২২ বছর দেশে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম ছিল। ব্যাংককের গণমাধ্যমগুলো অপিরাতকে সেনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার ‘বিশ্বস্ত’ সহযোগী বলে অভিহিত করছে। এই প্রায়ুথ চান ওচাই ২০১৪ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারকে উৎখাত করেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর দেশে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অপিরাত। তিনি বলেন, থাই জাতি ও জনগণের জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। ক্ষমতা দখল করে সেনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বলেছিলেন, সামরিক বাহিনী দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়বে।

তার বেঁধে দেয়া সেই সময় পার হয়েছে বেশ আগেই। এরপর চারবার পরিবর্তন হয়েছে নির্বাচনের তারিখ। সর্বশেষ নির্বাচনের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি।

থাইল্যান্ডে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে কয়েকবার। ২০০১ সালের নির্বাচনে থাই রাক থাই পার্টি জয়ী হয়। ওই সময় জোট সরকার গঠন করেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০৫ সালে নির্বাচনে জিতে থাকসিন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৬ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিনকে উৎখাত করা হয় এবং তার রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়।

তার দল ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে এবং ২০০৭ সালের নির্বাচনে থাকসিন ও মিত্রদের পিপলস পাওয়ার পার্টি জয় পায়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রী সামাক সুন্দরাবেজ ক্ষমতাচ্যুত হন। থাকসিনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সোমচাই ওয়াংসাওয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হন।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আদালতের রায়ে সোমচাইয়ের দল বিলুপ্ত হয়।

থাইল্যান্ড,সেনাপ্রধান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close