২৫ বছর পর জোড়া খুনের রায় বুধবার
কেরানিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর পিতা-পুত্র জোড়াখুনের মামলার রায় অাগামীকাল। ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.বজলুর রহমান বুধবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় প্রদান করবেন।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর পুনর্বিচারে ৫ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার সমাপ্ত হবে। এ মামলার পূর্ব রায়ে ডাবল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ৫ আসামির মধ্যে সফিকুর ইসলাম, নজরুর ইসলাম নজু, মিস্টার, ছোট মিষ্টার জেল হাজতে আটক রযেছে। আসামি মো. আরিফ ও মো.মাসুদ জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। আসামি নজু ও সফিকুল সহোদর ভাই। আসামি আরিফও মাসুদ গ্রেফতারের পর খুনের কথা স্বীকার করে ম্যাজিষ্টের নিকট ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সম্পর্কিত খবর
এ মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, বিগত ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানিগঞ্জের মালোপাড়া বরিশুর বাজার এলাকায় নিজ দোকানে ব্যবসায়ি শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯)ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে। বাবার কাছে রাতের লেখাপড়া শেষে দোকানের পিছনের রুমে ঘুমিয়ে পরে। রাত অনুমানিক ৩/৪টার সময়ে আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট ও অন্যান্য মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানালে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। তার চিৎকারে তার পুত্ররা এগিয়ে এসে পিতাকে বাচানোর চেষ্টা করে। এ সময় আসামিরা তাদেরকে কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তার শিশুপুত্র খোকন মারা যায়।
এ ঘ্টনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে । পুলিশ তদন্ত শেষে উক্ত ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলায় গত ২০০৪ সালের ২১ জুলাই তৎকালিন ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দাযরা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (বর্তমানে বিচারপতি) এ মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন করে রায়ে আসামিদের ডাবল মৃত্যু দণ্ড প্রদান করেন। আসামিরা এ মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতকে আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক ষ্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে পূর্ণ বিচার করার নির্দেশ দেন। সে মতে আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক ষ্টেট ডিফেন্স স্বাক্ষীদের জেরা করেন। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করে এ রায় প্রদান করছেন।