• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বড়পুকুরিয়া কয়লা গায়েব

পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব দুদকের

প্রকাশ:  ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১০:৩৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বড়পুকুরিয়ার কয়লা গায়েবের ঘটনায় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৩ আগস্ট) দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলমের সই করা চিঠি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে এসব কর্মকর্তা বরাবর নোটিশ জারি করে নির্দিষ্ট তারিখে দুদকে উপস্থিত থাকতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চলতি মাসেই তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দুর্নীতির তদন্ত দ্রুত শেষ হবে। প্রকৃত দোষীদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।’ তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমের নেতৃত্বে কয়লা লুটের মামলাটি তদন্ত করছে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।

১৬ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের তলব করা হয়েছে, তারা হলেন উপমহাব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক, ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান, ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ, উপব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ ও ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির।

আর ২৮ আগস্ট দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলী।

২৯ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন), কম্পানি সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানীয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হককে।

৩০ আগস্ট দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে উপব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মো. খলিলুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফিন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও গোপাল চন্দ্র সাহা, ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) মো. কামরুল হাসান, উপব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিনকে।

এর আগে গত ১ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল আওরঙ্গজেবকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে খনির ২০০ কোটি টাকার কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

কয়লা লুটের ঘটনায় গত ২৭ জুলাই রাত ১২টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে খনির এক লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা গায়েবের অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে দুদকের ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক।

/এসএম

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক),কয়লা গায়েব,বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close