জবির নারী শিক্ষার্থী উত্ত্যক্তকারীকে সহপাঠিদের গণধোলাই
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দশম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তকারী বহিরাগত এক বখাটে যুবককে গণধোলাই দিয়ে চুল কেটে দিয়েছে তার সহপাঠিরা। উত্ত্যক্তকারী ফারুখ হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি পুরান ঢাকায় একটি দোকানে মেকানিকের কাজ করেন। তিনি সদর ঘাটের জনতা ব্যাংকের সামনে কোন এক বিল্ডিং এ থাকেন সে বিবাহিত।
রোববার জবির টিএসসিতে ঐ নারী শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি থেকে ডেকে নিয়ে প্রমাণসহ হাতেনাতে আটক করে তার সহপাঠিরা।পরে উত্ত্যক্তকারীর কাছে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করতে চান শিক্ষার্থীরা। তবে নারী শিক্ষার্থী পুলিশে কোন অভিযোগ দিতে রাজী না থাকায় পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তারা।
সম্পর্কিত খবর
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লিখন সাংবাদিকদের বলেন, জবির ঐ নারী শিক্ষার্থী উত্ত্যক্তকারী ফারুখের বোনের বাসায় টিউশনি করাতো। সেখানে তাকে দেখার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাতে থাকেন তিনি। এভাবে দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করতে থাকলে সহপাঠিদের জানান মেয়েটি। পরে মেয়েটির ফেসবুক থেকে তার একজন ছেলে সহপাঠি চ্যাট করে এবং জবির টিএসসিতে আসতে বলেন। ফারুক টিএসসিতে আসলে প্রমাণসহ তাকে হাতেনাতে ধরেন শিক্ষার্থীরা । পরে তার মাথার চুলও কেটে দেয় উত্তপ্ত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি।
সুত্রাপুর এবং কোতয়ালী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারা পূর্বপশ্চিমকে একই ভাবে বলেন, আমাদের কাছে কেউ আসেনি । আমরা এমন কোন অভিযোগও পাইনি।