‘সোহিনীকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না’
মডেল হলেই নায়িকা হওয়ার রাস্তা মসৃণ হয়, তেমনটা মোটেই নয়। অন্তত তনুশ্রী চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে তা একেবারেই নয়। যথেষ্ট লড়াই করে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হয়েছে তাকে। অভিনয় তার একমাত্র প্যাশন। তাই অভিনয়ের সঙ্গে কোন কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নন।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ আঠারকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন তনুশ্রী। সেটি পূর্বপশ্চিম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
সম্পর্কিত খবর
আবিরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবি? কেমন অভিজ্ঞতা?
আবির আমার ভীষণ প্রিয়। তবে আমার থেকে বেশি আবির ভক্ত আমার মা। আবিরের সব ছবি আমার মা দেখেছেন। মা খুবই ভালবাসেন আবিরকে। আর আবিরের সঙ্গে আমার সব সময় খুনসুটি হতেই থাকে।
তাহলে তো শুটিংয়ে মজা হয়েছে নিশ্চয়ই?
একদম। ফ্ল্যাট নম্বর 609 যে ভয়ের ছবি শুটিংয়ে তো কোনভাবেই মনে হয়নি। টেকনিশিয়ান থেকে আমরা সবাই এত মজা করেছি শুটিং চলাকালীন যে সবাই বলতো ভয়ের ছবি তৈরি হচ্ছে, একটু ভয় তো পাওয়া উচিৎ।
ছবিতে তো আগে সোহিনীর থাকার কথা ছিল, ওকে রিপ্লেস করলেন?
এ নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না প্লিজ।
পরিবারের কেউ তো ফিল্মে ছিলেন না। নিজের চেষ্টায় নিজের জায়গা বানিয়েছেন। কাদের পাশে পেয়েছিলেন?
আমি অনেককেই অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি। অনেকের আর্শীবাদ পেয়েছি। সাহায্যও ছিল অনেকের।
যেমন?
প্রথম নাম অরিন্দম শীল। অরিন্দমদা আমায় ছবি নিয়ে অনেক টিপস দিয়েছেন। তার ছবিতেও কাজ করেছি। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতাদের নামও বলতে হবে।
মাঝরাতে খুব সমস্যায় পড়লে কাকে ফোন করতে পারেন?
এদের সবাইকেই ফোন করতে পারি যে কোন সময়। সমস্যায় পড়লে তো কথাই নেই। আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে, আমার বিশ্বাস।
আর মহিলা ব্রিগেড, মানে আপনার গার্লফ্রেন্ডেসরা?
নুসরাত, মিমি, পাওলি, সোহিনী এরা সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু। নায়িকারা বন্ধু হতে পারে না এই মিথ্যাটা ভেঙেছে অনেকদিন আগেই।
অভিনয় করছেন সঙ্গে নিজের ব্যবসাও সামলাচ্ছেন, কীভাবে করছেন?
নাহ, দু’টো নয়। অভিনয়ই আমার প্রথম ও প্রধান নেশা ও পেশা।
প্রেম তো করছেন অনেকদিন, কিন্তু কেন প্রকাশ্যে আনেন না বিষয়টি?
দেখুন, আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কোনদিন কথা বলতে চাই না। ভালবাসিও না। আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র জায়গা পায় আমার কাজ। আর আমার কাজ নিয়েই সবার প্রশ্ন থাকতে পারে, আমার প্রেম নিয়ে নিশ্চয়ই নয়।
যখন অভিনয় করছেন না, তখন কী করেন?
অনেক কাজ। যারা অন্যদের এন্টারটেইন করেন, তাদের নিজেদের এন্টারটেইনমেন্টের কথাও ভাবতে হয়। নিজেকে ভালো রাখতে সিনেমা দেখি, বই পড়ি, বেড়াতে যাই, রান্না করি, কেক বেক করি।
/অ-ভি