• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ও আমার আর সহজের বেস্টফ্রেন্ড: প্রিয়াঙ্কা

প্রকাশ:  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৭ | আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০০
বিনোদন ডেস্ক

তৃতীয় লেকসিটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অন্দরকাহিনি’ এর জন্য আবারও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন টালিউডের প্রিয়াঙ্কা সরকার। পাশাপাশি সেরা পরীক্ষামূলক ছবির শিরোপাও জিতেছে অন্দরকাহিনি। হাজার ব্যস্ততার ফাঁকে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নিউজ আঠার’কে সাক্ষাতকার দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সাক্ষাতকারটি পূর্বপশ্চিম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: একটার পর একটা ছবি রিলিজ হচ্ছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার আসছে অভিনয়ের জন্য। কেমন লাগছে?

উত্তর: মন প্রাণ দিয়ে তো কাজটা করার চেষ্টা করি। আর যখন সেই কাজের জন্য প্রশংসা আসে ভালো তো লাগে নিঃসন্দেহেই।

প্রশ্ন: এই তো ‘ক্রিসক্রস’এ দেখা গেলয, সামনে কী কী প্রজেক্ট রয়েছে?

উত্তর: এক্কেবারে সামনে ‘বোমকেশ গোত্র’ রিলিজ রয়েছে। একটা ওয়েব সিরিজে কাজ করার কথা চলছে।

প্রশ্ন: একটু অন্যধারার ছবিতেই এতদিন প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যেত, কিছুদিন আগে জিতের সঙ্গে ‘সুলতান’, বিরসার ‘ক্রিসক্রস’এ অভিনয় করলেন। যেগুলো এক্কেবারে কর্মাশিয়াল ছবি। তবে কী সামনে কমার্শিয়াল ছবিতে দেখা যাবে?

উত্তর: হ্যাঁ ‘ক্রিসক্রস’কমার্শিয়াল হলেও, অনেকটা ব্যালান্সড। তবে হ্যাঁ আমি তো আশা করছি। সেই চেষ্টাই করছি। আর একটা কথা হল যখন আমরা মাচায় শো করতে যাই। তখন কিন্তু লোকে আর্টিস্টদের নিজেদের ছবির গানই শুনতে চান। আর সেই রকম আইকনিক মশলাদার ছবিতে কাজ করলে তো ভালই।

প্রশ্ন: আর সেই কারণেই কি আবার ড্যান্স ক্লাসে জয়েন করেছেন?

উত্তর: আগে আমি নাচ করতাম। মাঝে অনেকটা দিন নাচের থেকে একটু দূরে ছিলাম। আবার জয়েন করেছি। তবে তা শুধু কমার্শিয়াল ছবিতে কাজ করার জন্যই নয়। আমাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিভিন্ন শো করতে হয়। আর সেই জন্যই নাচ জানতেই হয়। প্র্যাক্টিসের মধ্যে থাকার জন্যই আবার ক্লাসে যোগ দিলাম।

প্রশ্ন: আচ্ছা, ‌‘ক্রিসক্রস’ এ কাজ করতে গিয়ে শুনলাম তোমার সঙ্গে মিমি-নুসরাতের একটা ভালো বন্ডিং তৈরি হয়েছে?

উত্তর: শুধু মিমি-নুসরত নয়। জয়া দি আর সোহিনীর সাথেও। আসলে পরের দু’জনের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। জয়া দি আমার জীবনের অনেক কঠিন সময়ে সঙ্গ দিয়েছেন। আর মিমি আমার সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছে। অন্যদের থেকে শুনেছি তা। ও আমার কাজের জায়গাটাকে রেসপেক্ট করে। আর নুসরাত তো প্রচন্ড ডাউন টু আর্থ একজন মানুষ।

প্রশ্ন: এর মধ্যে মাঝ রাতে আইসক্রিম খেতে বেরিয়েছিলে, আর তাতে নাকি ‘ক্রিসক্রস’ ছবির পরিচালকের নাকি অভিমান হয়েছিল। কী ছিল ব্যাপারটা?

উত্তর: আসলে জয়া দি’র সঙ্গে আমার এমনই সম্পর্ক। তাই ওকে নিয়ে আইসক্রিম খেতে গিয়েছিলাম। ওর কাছে নানারকম আবদার করি। যখন তখন খাওয়াতে বলি, খাওয়াই। দিদির মতোই তো, তাই অত্যাচার চলে। তবে সব কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে না।

প্রশ্ন: আর যখন আসে, তখন বোমা ফাটে?

উত্তর: সবাই জানতে পারে আর কী

প্রশ্ন: আর পরিচালক মশাইয়ের ব্যাপারটা?

উত্তর: বিরসা দা খুব মজার মানুষ। খুব ভালো বন্ধু। শুধু আমার সঙ্গে নয়, সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। আর ওই মজাটা মজাই ছিল। যদি ব্যক্তিগত কথাবার্তা থাকতো, তবে তা ওর আর মধ্যেই থাকতো। এমনভাবে প্রকাশ্যে কিছু হতো না।

প্রশ্ন: তবে কি পরেরবার মাঝরাতে বিরসাকে আইসক্রিম খেতে ডাকছেন তো?

উত্তর: হ্যাঁ নিশ্চই। আমি না ডাকলেও, জয়া দি ডাকবেই। আর বিরসা গেলে একদিকে ভালই হবে। ওই ট্রিট দেবে আমাদের

প্রশ্ন: ‘ক্রিসক্রস’ এ করা চরিত্রটার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে তো বড্ড মিল?

উত্তর: এটা তো রিয়েল একটা ক্রাইসিস। আমার সাথে মিলে গিয়েছে ঠিকই, তবে এমন তো অনেক মহিলার সঙ্গে হয়। যাদের কথা হয়তো বলা হয় না। জানা হয় না। সেই রকমই একটা চরিত্র। আর মিল থাকায়, চরিত্রটা করতে গিয়ে একটু সহজও হয়েছে আবার একটু কঠিনও হয়েছে। আমি রিলেট করতে পারছিলাম। আবার এটা করতে গিয়ে নিজের ইমোশনগুলো চলে আসায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হয়। সিঙ্গেল মাদারদের প্রচন্ড ক্রাইসিসের মধ্যে যেতে হয়।

প্রশ্ন: তুমিও তো সিঙ্গেল মাদার। সহজকে কী করে সামলান? ওকেও কী কোনও সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে?

উত্তর: না। বিষয়টা তো অনেকদিল হয়ে গেল। ও এটার মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এত এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে ও রয়েছে। সেই কারণে আর আলাদা করে কিছু বলে না। ও খুব একটা মিস করে না। বলেও না। তাছাড়া আমার বাড়ির প্রতিটা সদস্য ওকে আগলে রাখে সর্বক্ষণ।

প্রশ্ন: হ্যাঁ এখন তোমার বাড়ির লোকগুলো আপনার পাশে। তবে একটা সময় তো একটু দূরত্ব এসেছিল?

উত্তর: না দূরত্ব ঠিক আসেনি। আর এখন মনে হয়, ওটা স্বাভাবিক ছিল। আসলে বয়সের একটা দোষ ছিল। কিছুটা ইমম্যাচিওর ছিলাম। একটা ভুল করে ফেলেছিলাম। সেই কারণে একটু অভিমানে হয়েছিল। তবে তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিটে গিয়েছে। আসলে যে সময় কাজকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে আমি ব্যক্তিগত সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিলাম। তবে এই কথা তো ঠিক বাবা-মায়ের চাইতে কাছের কেউ হয় না। আর কিছুদিন আগে নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ওনাদের সাপোর্ট ছিল মারাত্মক।

প্রশ্ন: অন্যদিকে চিরদিনই তুমি যে আমার-এর তো দশ বছর হয়ে গেল?

উত্তর: হ্যাঁ ৷ উফ্ ভাবা যায়। দেখতে দেখতে দশ বছর হয়ে গেল। টিভিতে আমাকে দেখে রাজ দা অডিশনে ডেকেছিল। পরে টিনা যে চরিত্রটা করেছিল, সেই চরিত্রের জন্যই ছিল অডিশন। তবে, অডিশন ভালো হওয়ায় রাজ দা আর শ্রীকান্ত দা ডিসাইড করেন যে পল্লবীর চরিত্রটা আমি করব। সে সব স্মৃতি আজও তাজা। প্রথম অভিজ্ঞতা সে তো একটু স্পেশ্যালই বটে। সব কিছু প্রথম প্রথম।

প্রশ্ন: হ্যাঁ এখন তো অনেকগুলো কাজ হয়ে গেল। তবে এখন অনেককে বলতে শোনা যায় যে, লুক তা এখনও আগের চাইতে অনেক বেশি পলিশড। আর এর পিছনে নাকি এক ফোটোগ্রাফারের হাত রয়েছে?

উত্তর: না এই ক্রেডিটটা আমি কাউকে দিতে পারছি না। কেননা আমার লুকস নিয়ে আমাকেই খাটতে হয়। জিমে গিয়ে দু’ঘণ্টা আমাকেই ঘাম ঝরাতে হয়। তবে যার দিকে ইঙ্গিত করতে চাইছো। সে আমার খুব খুব ভালো বন্ধু তথাগত। ফোটোগ্রাফার। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ অন্য কারণে। কেননা ও প্রচণ্ড ভালো ফোটোগ্রাফার। ও আমাকে অনেক বিষয়ে সাহায্য করেছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে, ছবি তুললাম, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে কোনও খুঁত আছে কিনা নিজে তো সেভাবে বোঝা যায় না। খুঁতগুলো বলে দিয়েছে। আমার অ্যাম্বিশন বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার গোল সেট করতে হেল্প করেছে। প্রমোশন বলো আর ফোটোশ্যুট বলো, সব কিছুতেই হেল্প করেছে।

প্রশ্ন: আর কাজের বাইরে কিছু?

উত্তর: হ্যাঁ হি ইজ মাই বেস্ট ফ্রেন্ড। আর আমাকে মানসিকভাবে প্রচণ্ড সাপোর্ট করেছে ও। মোট কথা হল ও আমার আর সহজের বেস্টফ্রেন্ড।

/অ-ভি

অভিনেত্রী,পুরস্কার,টালিউড,প্রিয়াঙ্কা সরকার,অভিনয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close