• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হিজাব পরেই মিস ইংল্যান্ড ফাইনালিস্ট, ইতিহাস গড়লেন সারা

প্রকাশ:  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৫২
বিনোদন ডেস্ক

বর্ণবৈষম্য, জাতিবিদ্বেষ নিয়ে উত্তাল গোটা দুনিয়া। তার মধ্যেই ইতিহাস গড়লেন এক মুসলিম তরুণী। এ বছর মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন তিনি। যদিও হেরে যান। এর আগে হিজাব পরে কোনও প্রতিযোগী ওই পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সারা ইফতিকার আইনের ছাত্রী। বয়স মাত্র ২০ বছর। বর্তমানে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তিনি। পোশাক পরিচ্ছদে সেই ছাপ স্পষ্ট। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।

নিজেকে কখনওই পড়াশোনায় আটকে রাখেননি সারা বরং সাজগোজের দিকে বরাবরই ঝোঁক তার। মেক-আপ আর্টিস্ট হিসাবেও কাজ করেন। সেই ফাঁকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর সুযোগ পেয়ে যান। এ বছর জুলাইয়ে মিস হাডার্সফিল্ড নির্বাচিত হন তিনি। সেখান থেকে সোজা নটিংহ্যামশায়ারের মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায়।

যদিও লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। মোট ৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তার। তবে পরাজয়ে হতাশ নন সারা।

তিনি বলেন, ইতিহাস গড়তে পারব বলে স্বপ্নেও ভাবিনি। তবে সত্যি গর্ব অনুভব করছি। হতে পারে আমি প্রথম হিজাব পরিহিতা ফাইনালিস্ট। তবে দিনের শেষে আমি আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। আমার মতো সকলেরই এই পর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

তবে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই নাকি তার ছিল না। শখের বশে নাম লিখিয়েছিলেন। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান ধারণা ভাঙতে চান তিনি।

সারার কথায়, আমি যদি পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে চাই, রক্ষণশীল পোশাক পরতে চাই, তাতে সমস্যা কোথায়? বাকিদের মতো আমিও একজন প্রতিযোগী। আমি যদি নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে আরও অনেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনুপ্রাণিত হবেন।

সম্প্রতি দুঃস্থ শিশুদের জন্য ইনস্টাগ্রামে একটি বিশেষ পেজ খোলেন সারা। তাতে লেখেন, ২০১৮-র সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম একটাই কারণে। সৌন্দর্যের কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। জাতি, বর্ণ, ওজন, আকার যাই হোক না কেন, প্রত্যেকেই নিজের মতো করে সুন্দর।২২ হাজারের মধ্যে সেরা পঞ্চাশে জায়গা পেয়ে সম্মানিত আমি। দেখি কোথায় গিয়ে পৌঁছই।

১৬ বছর বয়সে জামাকাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন সারা ইফতিকার। যার সমস্ত মুনাফা মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের ‘বিউটি উইথ পারপাস’নামের একটি সংস্থায় দান করেন তিনি।

নটিংহ্যামশায়ারের নেওয়ার্কের কেলহ্যাম হলে মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন আলিশা কাউই। ডিসেম্বরে চিনের সানিয়ায় আয়োজিত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তিনি।

/অ-ভি

মুসলিম,তরুণী,সারা ইফতিকার,মিস ইংল্যান্ড,প্রতিযোগী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close