• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নাট্যব্যক্তিত্ব মমতাজউদ্দীন আহমেদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত

প্রকাশ:  ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২৯
বিনোদন ডেস্ক

রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব মমতাজউদ্দীন আহমেদ। তাঁকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এ রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও শঙ্কামুক্ত নন তিনি।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। মঙ্গলবার দুপুরে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমরা মমতাজউদ্দীন স্যারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি আরও বলেন, মমতাজউদ্দীন স্যারের দুই ছেলের একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় বসবাস করেন। অসুস্থতার খবর শোনার পর স্যারের দুই ছেলেই আজ সকালে ঢাকায় চলে এসেছেন।

    বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও শিক্ষক মমতাজউদ্দীন আহমেদ। গতকাল সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আইসিইউ-এ রাখার পরামর্শ দেন।

    ১৯৩৫ সনে ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মমতাজউদ্দীন। কর্মজীবনে মমতাজউদ্দীন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও পরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে অধ্যাপনা করেন।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটিতে একজন উচ্চতর বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকও ছিলেন তিনি।

    তার লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজার অনুস্বারের পালা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। নাট্যচর্চায় অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে তিনি একুশে পদক পান।

    এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর রচিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’।

    প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘নীলদর্পণ’ (সম্পাদনা), ‘সিরাজউদ্দৌলা’ (সম্পাদনা)। – আরটিভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close