একদিকে পাঁচ বিয়ে অন্যদিকে ভয়ঙ্কর হ্যালোইন!
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) একসঙ্গে দু’টি হলিউডের ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। একটি হলো, নম্রতা সিং গুজরালের পরিচালনায় ‘ফাইভ ওয়েডিংস’। ২৬ অক্টোবর ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তির মধ্য দিয়ে ছবিটির আন্তর্জাতিক মুক্তি হচ্ছে। অন্যদিকে, গত ১৯ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া হরর ছবি ‘হ্যালোইন’ আসছে বাংলাদেশের দর্শকদের সামনে। চার দশক আগে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যালোইন’ ছবির সিক্যুয়াল এটি। ডেভিড গর্ডন গ্রিনের পরিচালনায় ছবিটি ইতোমধ্যে বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়েছে।
‘ফাইভ ওয়েডিংস’
সম্পর্কিত খবর
ছবি হলিউডের। কিন্তু পরিচালক এবং মূল দুই অভিনয়শিল্পী বলিউডের। ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত অভিনেতা রাজকুমার রাও। অন্যদিকে র্যাম্পের রানওয়ে থেকে রূপালি পর্দায় নাম লেখানো আলোচিত অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। এর আগেও নার্গিসকে ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডের অ্যাকশন-কমেডি ছবি ‘স্পাই’-এ দেখা গিয়েছিল। ওই ছবিতে নার্গিসের চরিত্রটি খুবই সংক্ষিপ্ত হলেও এবারের ছবির মূল চরিত্রে থাকছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘আমেরিকাস নেক্সট টপ মডেল’ দিয়ে আলোচনায় আসা নার্গিসের বলিউড অভিষেক ঘটে রকস্টার ছবি দিয়ে।
‘ফাইভ ওয়েডিংস’ এ দেখা যায় শানিয়া ঢালিওয়াল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন তরুণী পেশায় একজন সাংবাদিক। একদিন শানিয়াকে নিজের কক্ষে ডাকেন সম্পাদক। দায়িত্ব দেন ভারতীয় বিয়ের রীতি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরির। শুরুতে অনিচ্ছা থাকলেও দীর্ঘদিন পর মাতৃভূমির দর্শনের সুযোগ পেয়ে প্লেনে চড়ে বসেন শানিয়া। বিমানবন্দরে এই সাংবাদিকের পরিচয় হয় পুলিশ অফিসার হারভাজনের সাথে। যা এক সময় রূপ নেয় বন্ধুত্বে। যদিও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শানিয়ার গতিবিধি নজরে রাখতেই হারভাজন এই সম্পর্ক তৈরি করেন। এক সময় হারভাজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে শানিয়া। কিন্তু ততোক্ষণে ভিনদেশি এই সাংবাদিককে গুপ্তচর হিসেবে সন্দেহ করে বসেছে পুলিশ অফিসার। এমন গল্পেই পরিচালক নম্রতা সিং গুজরাল নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র 'ফাইভ ওয়েডিংস'। ছবিতে শানিয়ার চরিত্রে নার্গিস ফাখরি আর হারভাজনের ভূমিকায় আছেন রাজকুমার রাও। এছাড়া বো ডেরেক, ডেমি মোরেক ও ক্যান্ডি ক্লার্ককেও 'ফাইভ ওয়েডিংস' সিনেমায় দেখবে দর্শক। এদিকে, মুক্তির আগেই নতুন সুখবর হলো, ছবিটি আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। এ সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে আমার ‘ফাইভ ওয়েডিংস’। এটা খুবই আনন্দের এবং সম্মানজনক। মনে হচ্ছে আমাদের সমস্ত শ্রম সার্থক হলো।
‘হ্যালোইন’
চার দশক পর আবার নতুন করে পর্দায় এসেছে ‘হ্যালোইন’। ১৯৭৮ সালে জন কার্পেন্টারের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় আসেন সিরিয়াল কিলার মাইকেল মায়ার্স। হ্যালোইনের রাতে এই সিরিয়াল কিলারের টার্গেট ছিল বেবিসিটাররা। মুক্তির পরে বক্স অফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি হরর ঘরানার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কিংবদন্তির স্বীকৃতি পায় ছবিটি। পরে এর বেশ কয়েকটি সিক্যুয়াল হলেও প্রথমটির নামের মর্যাদা রাখতে পারেনি কোনোটিই। তাই এবার সম্পূর্ণ নতুন রূপে বেবিসিটারদের ঘুম হারাম করতে আসছেন মাইকেল মায়ার্স। ৪০ বছর আগের দুঃস্বপ্ন থেকে রেহাই পাওয়া লরি স্ট্রোড আবারও মুখোমুখি হবে সিরিয়াল কিলারের। শুধু তার জীবনই নয়, আরো অনেকের জীবন রক্ষা করতেই এবার লড়াইটা হবে লরির। লরি স্ট্রোড হিসেবে আবারও পর্দায় আসছেন জেমি লি কার্টিস এবং সিরিয়াল কিলার মাইকেল মায়ার্স চরিত্রে ফের দেখা যাবে নিক ক্যাসেলকে। লরি স্ট্রোড চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অমরত্বের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জেমি লি। কিন্তু এবারের সিক্যুয়ালে অভিনয় করতে শুরুতে একেবারেই রাজি হচ্ছিলেন না। এদিকে জেমিকে ছাড়া চলচ্চিত্রটি নির্মাণের কথা চিন্তাও করতে পারছিলেন না নির্মাতারা। ঘটনা শুনে এগিয়ে আসেন চলচ্চিত্রটির লেখক ড্যানি ম্যাকব্রাইডের বন্ধু অভিনেতা জ্যাক গিলেনহল। তিনিই ফের অভিনয়ের জন্য লি কার্টিসকে রাজি করান।
এ প্রসঙ্গে ৫৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘আগের সিক্যুয়ালগুলোর নিম্ন মানের জন্যই আমি রাজি হচ্ছিলাম না। তবে ম্যাকব্রাইডের চিত্রনাট্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। দর্শক আবারও সেই ১৯৭৮-এর অনুভূতি ফেরত পাবে।’ এরইমধ্যে তার প্রত্যাশা পূরণের আভাস দেখা যাচ্ছে। মুক্তির পর থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে ছবিঠি দর্শক-সমালোচকদের মতে, এই দশকের সবচেয়ে ভয়ের চলচ্চিত্রটি হতে যাচ্ছে ‘হ্যালোইন’।