• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

স্টার সিনেপ্লেক্সে এক দিনে হলিউডের দুই ছবি

প্রকাশ:  ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:০৫
বিনোদন প্রতিবেদক

হলিউডের দুইটি ছবি একসঙ্গে ৯ নভেম্বর (শুক্রবার) মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিগুলো হলো- ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’, ‘দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য ফোর রিয়ামস’। জনপ্রিয় ব্রিটিশ ব্যান্ড কুইন-এর ভোকাল অকালপ্রয়াত ফ্রেডি মার্কারির জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’। ব্যান্ডের জনপ্রিয় গান ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’ অনুসারে ছবিটির নাম রাখা হয়েছে। পরিচালনা করেছেন ব্রায়ান সিঙ্গার। আর্নেস্ট হফম্যানের ছোটগল্প ‘দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য মাউস কিং’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য ফোর রিয়ামস’। পরিচালনা করেছেন সুইডিশ পরিচালক লারস হালস্টর্ম এবং ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’খ্যাত মার্কিন পরিচালক জো জনস্টন।

বোহেমিয়ান রাপসোডি

সম্পর্কিত খবর

    সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ‘কুইন’ নামে এক কালজয়ী রক সংগীত ব্যান্ড গড়ে উঠেছিল। আজ অবধি ওই সাড়াজাগানো কুইন ব্যান্ডের কতো যে অগণিত ভক্ত রয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সেই কুইন ব্যান্ডের জনপ্রিয় ভোকাল ছিলেন ফ্রেডি মার্কারি। ১৯৯১ সালে মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে এইডসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। কুইন ব্যান্ডের এই খ্যাতিমান শিল্পীর জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’। ব্যান্ডের জনপ্রিয় গান ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’ অনুসারেই ছবিটির নাম রাখা হয়েছে। পরিচালনা করেছেন ব্রায়ান সিঙ্গার। লন্ডনের কোনো এক গলির ব্যন্ড থেকে কুইন হয়ে ওঠার গল্পই চলচ্চিত্রটির পটভূমি। মুলত এই ব্যন্ডের লিড আর্স্টিট ফ্রেডি মারকুরির জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনীই উঠে এসেছে এ ছবিতে। তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামি মালেক।

    হলিউডের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এ বছরের অন্যতম কাঙ্খিত সিনেমার নাম ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’। ছবি নির্মাণের ঘোষণার পর থেকে ‘কুইন’ ভক্তদের বিশেষ কৌতুহল জাগে। কেমন হয়েছে ছবিটি? ফ্রেডির জীবনকে কতটা সাবলীল ভাবে তুলে ধরতে পেরেছে এই ছবি? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে ভক্তদের চিন্তা জগতে। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন ‘বোহেমিয়ান’ ফ্রেডির ভক্তদের নিরাশ করবে না ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’। সম্প্রতি শিল্পী-কুশলীদের উপস্থিতিতে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’র বিশেষ প্রদর্শনী। ছবিটি দেখার পর ফ্রেডির চরিত্রে অভিনয় করা রামি মালিকের প্রশংসা করছেন সবাই। মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বোদ্ধারা। বিখ্যাত সিনেমা রিভিউ সাইট রটেন টমেটোতে ছবিটির রেটিং পড়েছে ৫৪ শতাংশ। ‘বোহেমিয়ান রাপসোডি’ মূলত ফ্রেডি মার্কারি ও কুইন ব্যান্ডের প্রথম পনের বছর সময়ের বিস্তারিত বিবরণ। সেই সঙ্গে তার শৈশব-কৈশোরের কিছু ঘটনাও উঠে আসবে ছবিটিতে। হলিউড রিপোর্টার-এর সাংবাদিক শেরি লিন্ডেন লিখেছেন, ‘সিনেমাটি তেজোময়। পুরোটা মসৃন না হলেও কিংবা অপুষ্ট হলেও মার্কারি এবং কুইনের জন্য ভালবাসার কারণে বোহেমিয়ান রাপসোডি ভালো লাগবে সবার।’ শেরি অবশ্য খোঁচাও দিয়েছেন বোহেমিয়ানের নির্মাতাদের। লিখেছেন, ‘কিছুদিন পর কুইনের উপর অন্যকোন কোন সিনেমা আরও গভীর পর্যন্ত যেতে পারবে।’ নির্মাতাদের সমালোচনা করলেও শেরি অবশ্য রামি মালিকের প্রশংসা করেছেন। তার অভিনয়কে ‘স্বর্গীয়’ আখ্যা দিয়েছেন শেরি। সেই সঙ্গে ছবিটির কস্টিউম ডিজাইনার জুলিয়ান ডে, প্রোডাকশন অ্যারন হায়ে, এডিটর জন ওটম্যানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই সমালোচক।

    দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য ফোর রিয়ামস

    রূপকথার গল্পকে সিনেমার পর্দায় আনার ক্ষেত্রে জুড়ি নেই ডিজনির। এবার পর্দায় নিয়ে আসছে জার্মান লেখক আর্নেস্ট হফম্যানের ছোটগল্প ‘দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য মাউস কিং’। গল্পটি অবলম্বনে নির্মিত ছবির নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য নাটক্র্যাকার অ্যান্ড দ্য ফোর রিয়ামস’। পরিচালনা করেছেন সুইডিশ পরিচালক লারস হালস্টর্ম এবং ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’খ্যাত মার্কিন পরিচালক জো জনস্টন।

    ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে ক্লারা নামের এক কিশোরীকে ঘিরে। মায়ের উপহারের বাক্সটি খুলতে তার প্রয়োজন একটি চাবির। সেই চাবির সন্ধানে তাকে জড়িয়ে পড়তে হয় অদ্ভুত এক রহস্যে। যে গল্পে রয়েছে আরো তিনটি সাদৃশ্য জগৎ, জীবিত কিছু পুতুল, বুদ্ধিমান এক ইঁদুরের দল এবং সেই জগতের অদ্ভুতুড়ে বাসিন্দারা। তারকাবহুল এ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাকেঞ্জি ফয়। এ ছাড়া দেখা যাবে কিরা নাইটলি, রিচার্ড ই গ্রান্ট, হেলেন মিলেন, মরগান ফ্রিম্যানের মতো অভিনয়শিল্পীদের।

    ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করা ১৭ বছর বয়সী ম্যাকেঞ্জি ফয়ের শুরুটা হয়েছিল জনপ্রিয় সিরিজ ‘টোয়ালাইট’-এর শেষ দুই কিস্তি দিয়ে। নিজের প্রতিভার প্রমাণ তিনি পরেও দিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইন্টারস্টেলার’-এ। তবে এবারই চলচ্চিত্রের পুরো আলোটা তাঁর দিকে। স্বভাবতই এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘ক্লারা দয়ালু, সাহসী এক সাধারণ মেয়ের প্রতিচ্ছবি। চরিত্রটি আমাকে জীবনের চেয়ে বড় করে ভাবতে শিখিয়েছে।’ সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমেরিকান হয়ে ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলাটা খুব স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ এ ছাড়া চলচ্চিত্রের অন্যতম আকর্ষণ ৭৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী হেলেন মিরেন। মোটামুটি সব গৌরবজনক পুরস্কার বাগানো এই অভিনেত্রী প্রতি ছবিতে নতুন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসেন। বিশ্বজুড়ে ভক্তরাও বেজায় খুশি তাঁকে খল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখে। চরিত্রটি সম্পর্কে হেলেন মিরেন বলেন, ‘মাদার জিঞ্জার কিন্তু শুধু দুষ্টুই নয়, সে কৌতুক করতেও ভালোবাসে। এমন দ্বিমুখী চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’

    /এ আই

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close