শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনের দাফন সম্পন্ন
প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে আজ শনিবার দুপুরে মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে। এর আগে এফডিসি প্রাঙ্গণে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বনানীতে ছেলের বাসায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঞ্জুর হোসেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমার জীবনে এ রকম মানুষ দেখিনি, যে কখনো বেদনাহত হয়েছে। সব সময় সব পরিস্থিতিতে একটা আনন্দমুখর জীবন যাপন করতেন। তার মানে জীবনটাকে উদ্যাপন করতেন। ’
সম্পর্কিত খবর
নাট্য নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘অভিনয়জগতের কারও কোনো বিপদের কথা শোনামাত্রই তিনি ছুটে গেছেন। একটি পা নিয়ে তিনি জীবন যাপন করেছেন। এই পা ছাড়া অবস্থায় তাঁর কাজের যে গতি ছিল, তা আমাদের ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। মঞ্জুর ভাই একজন বটবৃক্ষ।’
এফিডিসিতে মঞ্জুর হোসেনের জানাজায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর, আহসান হাবিব নাসিম, মুশফিকুর রহমান গুলজার, জায়েদ খান, খোরশেদ আলম খসরু, নাদের খান, মাসুম বাবুল ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন।
মঞ্জুর হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, মঞ্জুর হোসেন বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঞ্জুর হোসেন জন্ম ১৯৩৭ সালে। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘রাজধানীর বুকে’। এরপর তিনি ‘হারানো দিন’, ‘ধারাপাত’, ‘সাত রং’, ‘তালাশ’, ‘শীত বিকেল’, ‘বন্ধন’, ‘মিলন’, ‘কাজল’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ‘নয়ন তারা’, ‘তুম মেরে হো’, ‘কুলি’, ‘রূপবান’সহ অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
পিবিডি/ ইকা