মালয়েশিয়া পূজামণ্ডপে হাই কমিশনার শহীদুল ইসলাম
মহাসমারোহে মালয়েশিয়ায় শুক্রবার উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী। শাস্ত্রমতে, মহানবমীতে দেবী দুর্গার দুষ্টের দমন বা অশুভকে বিনাশ করার শক্তির আরাধনা করা হয়।
শুক্রবার কুয়ালালামপুর ব্রিকফিল্ড শ্বামী বিবেকানন্দ আশ্রমে রাত ৮টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশি ও বাংলাভাসী আভিযান দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম।
সম্পর্কিত খবর
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য হাই কমিশনার বলেন, কোনো একক ধর্ম নয়, বরং সব ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে গড়ে তুলতে হবে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সৌহার্দ্যময় সমাজ। যেখানে সব ধর্মের লোক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা, উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে ভিন্নতা থাকবে, তবে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের অনুসারীদের চেতনা ও মূল সুর একই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। বাংলাদেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে পালন করছে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধনঞ্জয় কুমার দাস, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপংকর মণ্ডল, অ্যাডভাইজার ডা. শংকর চন্দ্র পুদ্দার, ভাইস চেয়ারম্যান ড. সমির পাল, জেনারেল সেক্রেটারি সত্যশিষ সানিয়েলসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।
শনিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব। তাই শেষ মুহূর্তে মণ্ডপে ভিড় করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সব বয়সের মানুষ। হিন্দু শাস্ত্র মতে মহানবমীর দিনেই মানব জাতির দুর্দশা লাঘব করতে মর্ত্যলোকে আসা দেবী দুর্গা অসুরকে বধ করে। কল্যাণ আর সম্পদে সমৃদ্ধ করে মানবকুলকে। তাই মহানবমীতে দেবী আরাধনায় মগ্ন সব বয়সী ভক্ত-অনুরাগী।
শাস্ত্র মতে দশমীর বিদায়ের সুরের প্রথম আওয়াজ পাওয়া যায় নবমীর সমাপ্তির পথ ধরে। দেবী বন্দনা আর আরাধনার এটাই যেন শেষ সময়। জগতের সব পাপ আর কালীমা মুছে বিজয়া দশমীতে ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গলোকে যাবেন দেবী।