• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামে উপশম অ্যাজমার লক্ষণ

প্রকাশ:  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

অ্যাজমার লক্ষণ উপশম করতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস ও দৈহিক সুস্বাস্থ্য। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যায়াম ও নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মাত্র দুই মাসেই অর্ধেক নিরাময় ঘটে অ্যাজমার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর। খবর ডেইলি মেইল।

গবেষণায় উঠে আসা এ তথ্যকে অনেক বড় একটি সুখবর হিসেবে আখ্যা দিলেও ভুল হবে না। দূষণে জর্জর পৃথিবীতে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা নিয়মিতই বেড়ে চলেছে। শুধু যুক্তরাজ্যেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সা নিচ্ছেন ৫৪ লাখ রোগী। বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা রোগীর চিকিত্সায় সাশ্রয়ী ও কার্যকর একটি নিদান হয়ে উঠতে যাচ্ছে গবেষণার তথ্যটি।

সম্পর্কিত খবর

    কোপেনহেগেনভিত্তিক বিসপেবিয়ার্গ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের ডা. লুই টোয়েনেসেনের নেতৃত্বে ডেনমার্কের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এ গবেষণা কার্যক্রম চালান। গবেষণার জন্য আট সপ্তাহ ধরে ১২৫ অ্যাজমা রোগীর জীবনযাত্রার ওপর পর্যবেক্ষণ চালান গবেষকরা।

    এদের মধ্যে কিছু রোগীকে পর্যবেক্ষণ চলাকালে সপ্তাহে অন্তত তিনটি ব্যায়ামের ক্লাসে অংশ নিতে এবং নিয়মিতভাবে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল ও শাকসবজি আহার করতে বলা হয়। পর্যবেক্ষণ শেষে দেখা গেছে, এসব রোগীর মধ্যে অ্যাজমার অর্ধেক লক্ষণেরই উপশম ঘটে গেছে। অন্যদিকে পর্যবেক্ষণের আওতাধীন আরেক দল রোগীকে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ বা সপ্তাহে তিনটি ব্যায়ামের ক্লাসে অংশ নেয়ার মধ্যে যেকোনো একটি কার্যক্রম বেছে নিয়ে অনুসরণ করতে বলা হয়। দেখা গেছে, এদের মধ্যে অ্যাজমার উপশম ঘটেছে গড়ে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে বাকি যেসব রোগীকে দুটি কাজের কোনোটিই করতে বা জীবনযাত্রায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে বলা হয়নি, তাদের অবস্থায় খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি।

    এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান ডা. লুই টোয়েনেসেন বলেন, তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়ামের নিয়মিত অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে স্থূলকায় অ্যাজমা রোগীরা যে উপকৃত হতে পারেন, সে বিষয়ে অনেক নিদর্শন আগেই পাওয়া যাচ্ছে। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, যাদের মধ্যে কোনো ধরনের স্থূলতা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কী রকম হতে পারে। আমাদের গবেষণা বলছে, অস্থূলকায় অ্যাজমা রোগীদের মধ্যেও সুপরিকল্পিত ও কঠোর ব্যায়ামের ভালো উপকারিতা রয়েছে। এতে আরো দেখা যায়, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম দুটির সমন্বিত প্রভাবে অ্যাজমা রোগীরা তাদের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন এবং আরো মানসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close