পরিবেশবিদরা বলেছেন শব্দবাজির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর আতসবাজি
রাত পোহালেই আলোর উৎসব। তবে উৎসব শুধু আলোয় তো সীমাবদ্ধ থাকবে না। শব্দবাজির কান ফাটানো দাপট থাকবে। থাকবে আতসবাজির চোখ ধাঁধানো রোশনাইও। বাজির শব্দমাত্রা নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে ঠিকই। শব্দবাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে জনমতও রয়েছে কিছুটা। কিন্তু আতসবাজিতে আপত্তি করেন না অধিকাংশই। পরিবেশবিদরা কিন্তু জানাছেন, আতসবাজি আরো মারাত্মক পরিবেশের পক্ষে। শব্দবাজির চেয়ে অনেক বেশি দূষিত ধোঁয়া উৎপন্ন হয় আতসবাজিতে। উৎসব-অনুষ্ঠানে আতসবাজির তুমুল রোশনাই তাই সরাসরি প্রভাব ফেলে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে।
আতসবাজি এবং শব্দবাজি কী কী ভাবে ক্ষতি করে পরিবেশের, সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার জন্য পরিবেশ আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী সুভাষ দত্তকে নিয়ে আলোচনার আয়োজন হয়েছিল ফেসবুক লাইভ।
সম্পর্কিত খবর
সুপ্রিম কোর্ট এ বার দিল্লিকে বাজিমুক্ত রাখতে চায় দিওয়ালিতে। তাই ১ নভেম্বর পর্যন্ত সব রকমের বাজি বিক্রির উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সর্বোচ্চ আদালত পরখ করে নিতে চায়, দিওয়ালির পর যে প্রবল দূষণ মেঘের মতো ঢেকে ফেলে দিল্লির আকাশ, বাজি পোড়ানো বন্ধ থাকলে, তা কতটা কমবে। অনেকেই আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে কিছুটা কাজ হবে। দিওয়ালিতে দিল্লি এ বার একটু কম হাঁসফাঁস করবে।
দিল্লি না হয় কম কষ্ট পাবে। কলকাতার কী হবে? কলকাতার জন্য তো কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তা হলে কি এ বারের দিওয়ালিতেও শব্দবাজি আর আতসবাজির তুমুল দাপট দেখা যাবে মহানগর জুড়ে? প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলেই। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তর আহ্বান, সচেতন হতে হবে আমাদের নিজেদেরই। দেদার বাজি পোড়ানোয় পরিবেশের কতটা ক্ষতি, কতটা ক্ষতি স্বাস্থ্যের, সে কথা বুঝে নিয়ে নিজেরাই যদি ইতি টানি ‘পরম্পরায়’, তা হলেই আরও সুন্দর হয়ে উঠবে আলোর উৎসব।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা