• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘কাজ করতে পেরেছি, কারণ প্রতিদিনই আমি শিখেছি’

প্রকাশ:  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:১৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কলকাতার এক বাঙালি পরিবারে জন্ম অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের। সেখানকারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রথম নারী চেয়ারম্যান পদে প্রথম নারী ছিলেন তিনিই।

ব্যাংকের ৩৬ বছরের কর্মজীবনে তিনি ফরেন এক্সচেঞ্জ, ট্রেজারি, রিটেইল অপারেশন, মানবসম্পদ ও বিনিয়োগ ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এতগুলো ক্ষেত্রে কর্মবিচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এত দিন ধরে সেখানে কাজ করতে পেরেছি, কারণ প্রতিটি দিনই আমি শিখেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রই আমাকে ভিন্ন সংস্কৃতির আভাস দিয়েছে।’

সম্পর্কিত খবর

    ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নিউইয়র্ক অফিসেও বহাল ছিলেন অরুন্ধতী। এ ব্যাংকের জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কাস্টডিয়াল সার্ভিসেস, পেনসন ফান্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাককুয়ারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড চালু করার সঙ্গেও তার নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

    তিনি ব্যাংকের নারী কর্মীদের জন্য দুই বছরের ছুটির নীতি চালু করেন, যাতে করে তারা সে ছুটি মাতৃত্ব ও সন্তান লালনপালনে ব্যবহার করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, নারী দিবসে ব্যাংকের সব নারী কর্মীর বিনামূল্যে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেয়ার উদ্যোগও নেন তিনি।

    ২০১৬ সালে ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ২৫তম নামটি ছিল অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের। ওই একই বছর ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের এফপি শীর্ষ বিশ্বের ১০০ চিন্তাবিদের মধ্যেও স্থান পান তিনি। ব্যবসায় ম্যাগাজিন ফরচুন তাকে এশিয়া প্যাসিফিকের চতুর্থতম ক্ষমতাশালী নারী হিসেবে উল্লেখ করে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনে ভারতের ৫০ জন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির মধ্যে ১৯তম নাম হিসেবে তুলে ধরে অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের নামটি। ২০১৭ সালের অক্টোবরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

    সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস ও বিজনেস টুডে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close