চলো মেঘ ছুঁয়ে আসি
বান্দরবানে হাত বাড়ালেই মেঘের পরশ। ঝরনার অবিরাম ছুটে চলা আর শ্যামল প্রকৃতি সব মিলিয়ে যেন এক টুকরো স্বর্গ। এখানে রয়েছে দেখার মতো অনেক কিছু। সেসবের কথা জেনে নিন-
রুমা বাজার
সম্পর্কিত খবর
বগা লেক রুমা বাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় গাঢ় নীল জলের বগা লেকে। তবে ১৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু এই লেকের অপার সৌন্দর্য দেখে পথের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় মুহূর্তেই। এখানে রাত কাটানোর ব্যবস্থা আছে।
কেওক্রাডং ও তাজিনডং রুমা বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কেওক্রাডংয়ের অবস্থান। তাজিনডং আবিষ্কৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটাই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। তাজিনডংয়ের অবস্থান রুমা বাজার থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। উচ্চতায় দুই পর্বতের পার্থক্য থাকলেও সৌন্দর্যে কেউ কাউকে নাহি ছাড়ে।
প্রান্তিক লেক বান্দরবান শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের পাশে অবস্থান ছায়াছন্ন এ লেকের। বান্দরবান বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টার মতো।
লামা বান্দরবান শহর থেকে ৯৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লামা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মেডিটেশন সেন্টারের জন্য জায়গাটি সুপরিচিত। এছাড়া এখানে রয়েছে পর্যটন স্পট মিকির ও মিরিঞ্জা। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী নির্মিত শিশুপার্কটিও সুপরিচিত। বান্দরবান থেকে বেলা ২টায় পূর্বাণী পরিবহন ও ৩টায় চাঁদের গাড়ি ছেড়ে যায় লামার উদ্দেশে।
আলী সুড়ঙ্গ লামা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রহস্যঘেরা এ সুড়ঙ্গে যাওয়ার একমাত্র বাহন চাঁদের গাড়ি। তবে এখানে যাওয়ার আগে পাহাড়বান্ধব জুতা, দা, লাঠি, ব্লিচিং পাউডার, লবণ সঙ্গে নিতে যেন ভুলবেন না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলা শহরটিতে জারুলিয়াছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ি লেক, উপবন পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে ৬৫ হেক্টর ভূমিজুড়ে স্থাপিত গয়াল প্রজনন কেন্দ্র।
নীলগিরি রিসোর্ট বান্দরবান থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি রিসোর্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৬১ মিটার উঁচু এ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে পাওয়া যায় মেঘ ছোঁয়ার এক স্বপ্নিল আবেশ। বন্ধুর পাহাড়ে সবুজের হাতছানিতে হারিয়ে যেতে পারে আপনার মন। এখানে পর্যটকদের জন্য সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি অবকাশ কেন্দ্র রয়েছে।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স শহরতলি থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে ৯০ একর ভূমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এ পর্যটন কমপ্লেক্স। এখানের কৃত্রিম লেক আর পাহাড়ের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে।
চিম্বুক পাহাড় শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ পাহাড় বান্দরবানের অন্যতম চিত্তাকর্ষক স্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ফুট উঁচু এ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেখা যায় দূরের সৈকত।
রাজবাড়ী বান্দরবানে অবস্থিত বহু বছরের পুরোনো বোমাং রাজার বাড়িটি এখনও মুগ্ধ করে সবাইকে। প্রতি বছর শীতকালে এখানে রাজপুণ্যাহ মেলা বসে।
শৈলপ্রপাত-বনপ্রপাত বান্দরবান থেকে আট কিলোমিটার দূরে চিম্বুক সড়কপথে অবস্থিত শৈলপ্রপাতের অবিরাম জলধারা মুগ্ধ করে সবাইকে। এখানের পর্যটন কেন্দ্র দুটিও দেখার মতো। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পথিমধ্যে আমতলিতে অবস্থিত বনপ্রপাতটির সৌন্দর্যও মনোহর।
বৌদ্ধমন্দির শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের পুলপাড়ায় জাদির পাহাড়ে অবস্থিত অপূর্ব কারুকার্যময় এ মন্দিরটির অবস্থান। এ স্বর্ণমন্দিরের নাম বুদ্ধধাতু জাদি। এগুলো ছাড়াও বান্দরবানে দেখার মতো আরও আছে জাদি পাহাড়, রাজবন বিহার, শঙ্খ নদীসহ (সাংগু) নানা কিছু।