• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away
Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away
Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away

গর্ভাবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

প্রকাশ:  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:১৭ | আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

‘গর্ভাবস্থা’ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা এখানেই। প্রথমবারের মতো মা হবে, এমন অনেক নারীর মনে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে।তবে চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় মিলনে কোনো ক্ষতি হয় না, বরং নারীর শরীরের নানা উপকার হয়। এতে ঘুম ভালো হবে ও প্রেম আরও গভীর হয়।

গর্ভাবস্থার সময় শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে আরও কিছু ধারণা আছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই ভ্রান্ত ধারণাগুলো...

সম্পর্কিত খবর

    ** অনেকে মনে করে গর্ভাবস্থায় সময় শারীরিক সম্পর্ক করলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সঙ্গীর কোনো রকম যৌন রোগ না থাকলে ইনফেকশন হওয়া নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন নেই। এই রকম অবস্থায় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি।

    **অনেক সময় পেটের ভেতরে বেদনার অনুভূতি হয়, কিন্তু এর ফলে যে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেতে পারে তার কোনো মানে নেই।

    ** অনেকেই মনে করেন, গর্ভাবস্থার সময় মিলনের ফলে ভ্রূণ (বাচ্চার) ক্ষতি হয়। এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় ওয়েজাইনা স্ট্রেসের ফলে একটু বৃদ্ধি পায়, এর ফলে গর্ভাশয়ের বাইরের দিকে মিউকাসের একটা ভারী স্তর জমে যায়। যার ফলে মিলনের সময়ও গর্ভাশয়ের মধ্যে বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।

    **মিলনের পরে রক্ত ক্ষরণের মানে হলো মিসক্যারেজ হওয়া বা কোনো রকম ক্ষরণ হওয়া। এই সময় গর্ভাশয় খুবই স্পর্শকাতর থাকে, মিলনের পরে সামান্য রক্ত আসতে পারে, এটা খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি ব্লিডিং বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

    **প্রেগনেন্সির দ্বিতীয় ধাপে এসে রক্ত প্রবাহ ও স্রাব দুটিই বৃদ্ধি পায়। এই কারণে প্রেমজ হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে চ্যাডউইক -ও বলা হয়। এই সময় প্রিয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার বাসনা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া এই সময় সহবা‌সের আসন নি‌য়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হ‌বে। কোনো কারনে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরন, প্রাক প্রসব বেদনা, জরায়ুর গলদেশে সমস্যা, গর্ভের ফুল জ‌নিত সমস্যা এবং যৌন-সংক্রামন রোগ প্রভৃ‌তি সমস্যার ক্ষে‌ত্রে সহবাস থে‌কে বিরত থাকতে হবে।

    **গর্ভধারণের প্রথম পর্যায়টি অনেকের জন্যই হতে পারে ক্ষতিকারক। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কেননা এটি মা ও গ‌র্ভের সন্তান উভয়ের জন্য ক্ষতি। তবে ৩-৬ মাসে শরীরে অক্সিটনিক (প্রেমজ হরমোন) বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

    সহবা‌সের সময় স্ত্রীর তলপেটে কোন চাপ পড়েনা এবং আস্তে আস্তে মিলন করার সুবিধা থাকে এমন মিলন গর্ভবতীর জন্য খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে হাটু ও হাতে ভর দি‌য়ে মিলিত হ‌লে গর্ভবতী নারীর পেটে কোন প্রকার চাপ পড়ে না। গর্ভকালীন সময় স্ত্রী য‌দি সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকে তাহলে তার সাথে সহবাস করতে নি‌ষেধ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে কোনো প্রকার সমস্যা থাকে না।

    দ্বিতীয় তিনমাসে দম্পতির ইচ্ছের উপর নির্ভর ক‌রে সহবাস করা যায়। তবে তাও নির্ভর করে গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থার ওপর। প্রয়োজনে গর্ভকালীন চি‌কিৎস‌কের পরামর্শ নেওয়া যু‌ক্তিসঙ্গত। শেষ তিন মাস গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থার জন্য সহবাসে অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া সহবাসের ফলে জীবাণুর সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থা‌কে ব‌লে, শেষ তিন মাস সহবাস না করাই ভালো।

    সন্তান প্রসবের পর দেড় মাস স্ত্রীকে সহবাস থেকে বিশ্রাম দিতে হয়। কারণ এসময় জননতন্ত্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর থা‌কে ব‌লে, মিলনের ফলে প্রচুর রক্তপাত হতে পারে বা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে।

    Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away
    close
    Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 2006 MySQL server has gone away