শেষ হলো তুরস্কের ভোট গ্রহণ, চ্যালেঞ্জের মুখে এরদোগান
তুরস্কের পার্লামেন্টারি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নতুন সংবিধান অনুসারে জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশটির নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটগণনা।
নির্বাচনে মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছয়জন। তারা হচ্ছেন- বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও একে পার্টির প্রার্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, সিএইচপির মুহাররেম ইনজে, ইয়ি পার্টির মেরাল আকসেনার, কুর্দিদের সমর্থিত এইচডিপির সালাদিন দেমিরতাশ, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলু। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এরদোগান ও মুহাররেম ইনজের মধ্যে।
সম্পর্কিত খবর
তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান জনপ্রিয় হলেও তিনি নিরঙ্কুশ ক্ষমতাধর হতে পারবেন কিনা তা অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রজব তাইয়্যেব এরদোগান ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে টিকে যাবেন বলে ইঙ্গিত মিলছে বুথ ফেরৎ জরিপে। তবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না তা এখনও অস্পষ্ট।
তুরস্কের ইতিহাসে এবারই প্রথম জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরদোগানের একেপির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্সে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি এবং ইসলামি জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টি। অন্যদিকে সিএইচপির নেতৃত্বে গঠিত জোট নেশন অ্যালায়েন্সে রয়েছে সিএইচপি, ইয়ি পার্টি, ইসলামপন্থী দল সাদাত পার্টি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
২০১৯ সালে দেশটিতে এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর এক বছর আগেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুনর্বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নিজের ক্ষমতা আরও সংহত করার চেষ্টা করছেন তিনি। গত ১৫ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে তার দল একে পার্টি।
তুরস্কে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। নির্বাচনে শতকরা ৭৫ ভাগ ভোটার ভোটধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে দেশটির স্থানীয় সংবাদপত্র সূত্র জানিয়েছে।
এনই