দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের মামলার অভিযোগ শুনানি ২২ অক্টোবর
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীতে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার মামলায় ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) আদালতের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ও দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। তারও আগে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামি হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চালক ও চালকের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে, তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়। এ সময় চালক মাসুম বিল্লাহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দুজন শিক্ষার্থী মারা যান।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সেদিন বাস দুটির চালক ও চালকের সহকারীরা দুই থেকে তিনবার ওভার ট্রেকিং করে।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাঁদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের ঘাতক বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেফতারের খবর জানানো হয়।
পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে ডিবি।
/রবিউল