• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

তিনি যে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি- এসব তারা বুঝতে চাইত না, মানতও না

প্রকাশ:  ১৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৩১ | আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৫২
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

সেদিন হঠাৎ বিক্রমপুরের মাসুম শিকদার পাঁচ লিটারের এক বোতল দুধ নিয়ে হাজির। তিনি নাকি আমার খুবই ভক্ত। তাকে দেখা দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমার স্ত্রী বলল, লোকটাকে খেতে দাও। বললাম, আমার খাওয়া শেষ হোক তারপর তার খাওয়া-দাওয়া যা করতে হয় করা যাবে। কথা হচ্ছিল কারা কবে বঙ্গবন্ধুর জন্য কলা-মুলা-লাউ নিয়ে আসতেন। মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মীরা আগের মতো নির্বিবাদে বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে দিত না। তার পরও অনেকে যেত। তিনি যে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি- এসব তারা বুঝতে চাইত না, মানতও না। আমাদের ব্যাপারও অনেকে মানতে চায় না। খাওয়া-দাওয়া শেষে দুধের বোতলসহ ভদ্রলোক বৈঠকখানায় এসেই বললেন, ‘আমাকে এক গ্লাস পানি দিন, আরেকটা গ্লাস দিন একটু দুধ খাব।’ ফরিদ পাশে ছিল। সে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছিল। বললাম, ৩০ বছর সঙ্গে আছিস এই সাদা কথাটা বুঝলি না? এইটুকুতেই ভদ্রলোক বুঝে ফেললেন, ‘একটু দুধ খাব এই জন্য, আমি না জানা মানুষ। কোনো কিছু দিলে খাবেন কেন? তাই খেয়ে দেখিয়ে যাব।’ অতি সাধারণ মানুষ, কী তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি! হালুয়াঘাটের সালাম সপ্তাহখানেক আগে বউ-বাচ্চা নিয়ে এসেছিল। অনেক মিষ্টি এনেছিল। সে থেকে ভদ্রলোককে মিষ্টি দেওয়া হয়েছিল। ভদ্রলোক বলছিলেন, ‘আমার গ্রামে আমি সব থেকে বেশি শিক্ষিত, ক্লাস ফাইভ। পিয়নের চাকরি করি। আমার তিন ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে ইংলিশে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ার, আরেকটা অনার্স পড়ে, ছোটটা এইচএসসিতে ভর্তি হয়েছে।’ ভদ্রলোকের কথা শুনে খুবই ভালো লেগেছিল। বলেছিলাম, আমরা রাজনীতি করি। কত মানুষ আসে। সবাই যদি এটা-ওটা আনে তাহলে অপচয় হয়। এর পর এলে খালি হাতে আসবেন। কিছু নিয়ে এলে দেখা এবং কথা হবে না।

সম্পর্কিত খবর

    বিকালে গিয়েছিলাম হাতিরপুল টাইলসের দোকানে। বউয়ের জন্য রান্নাঘরটা একটু ভালো করার অনেক দিনের ইচ্ছে। ঘরটা আট-নয় ফুট, খুবই ছোট। দোতলা-তেতলা সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে তার জীবন শেষ। এমনিতে থাইরয়েড অপারেশন করায় তার শরীর ভালো যায় না। তাই দোতলায় ড্রয়িং রুমের পাশে ছোট্ট রান্নাঘরটা বড় করতে আমার বাথরুম ভেঙে রান্নাঘর চলনসই করেছি। প্রথম ভেবেছিলাম, ৭০-৮০ হাজার অথবা ১ লাখ টাকা খরচ হবে। নিচে থেকে গেঁথে তুলতে মনে হয় তার দ্বিগুণ খরচ হবে। ১২-১৪ রান্নাঘরের সিংক, পাথর, টাইলসের জন্য হাতিরপুলের বাঁধন নামে এক দোকানে গিয়েছিলাম। এর আগেও সেখান থেকে বাথটব এনেছি। অসাধারণ মানুষ বাঁধনের মালিক জনাব সাফায়াত। বছরখানেক আগে কিছু খাওয়াতে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তেমনটাই করেছেন। বেগম সাহেবের জন্য ডাবল সিংক, কুশির জন্য সিঙ্গেল, পানির কল, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দরকার। ভদ্রলোক এবার কফি খাইয়েছেন। খাওয়ার চাইতে ব্যাকুলতা, আন্তরিকতা বেশি। একটা রুম ফ্রেশনার মেশিন দিয়েছেন। আমি খুবই আপত্তি করেছিলাম। তার কোম্পানি প্রডাক্ট হলে কোনো আপত্তি থাকত না। কিনে এনে উপহার দেবেন সেটা ভালো লাগে না। যাই হোক, জিজ্ঞেস করেছিলাম দোকানের ভাড়া কত? ভদ্রলোক বলছিলেন, ‘৫ লাখ।’ আটতলা দালান। চার হাজার স্কয়ার ফুটের প্রতি ফ্লোর হয়তো ৫ লাখ হবে না। কিন্তু তিন-চার ফ্লোর ৫ লাখ টাকা করে হবে। নিচের ফ্লোর হয়তো আরও বেশি। জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত ভাড়া দিয়ে পোষায়? ভদ্রলোক খুব উৎসাহের সঙ্গে বলছিলেন, ‘আমাদের নানা আইটেম। মাসে ৪-৫ কোটি টাকা বিক্রি হয়। তাই পুষিয়ে যায়।’ আমাদের গাইড ফুলকির মোতালেব। খুব ভালো মানুষ। অনেক বছর চিনি-জানি। তার নিজেরও টাইলসের দোকান আছে। তা ছাড়া পাথর বিক্রি করে। তাতে ইতালিয়ান গ্র্যানাইটই বেশি। সেই এর আগে নিয়ে গিয়েছিল। শুনলাম বিল্ডিংয়ের মালিক মনির কালিহাতীর পাইকরার এক মুক্তিযোদ্ধা। পাইকরার কোনো মুক্তিযোদ্ধা কাদেরিয়া বাহিনীর বাইরে থাকার কথা না। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আমার দলের সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার হাতিরপুলে পাঁচ-ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের আটতলা দালান। আমার ঢাকা শহরে কিছু নেই। দুধওয়ালা মাসুম শিকদার যেমন আমাকে দেখে ছটফট করছিলেন। বলছিলেন, ‘আপনারা দেশ না বানালে আমরা চাকরি পেতাম? আমি ফাইভ পাস। আমার ছেলে ইংলিশে এমএ পড়ত?’ ঠিক একই কথা বাঁধনের মালিক জনাব

    সাফায়াতের, ‘দেশ স্বাধীন না হলে আমরা আবার ব্যবসা করতাম? আমরা তো পাকিস্তানিদের কর্মচারীও হতে পারতাম না। পায়ের নিচে পড়ে থাকতাম। বঙ্গবন্ধু দেশ বানিয়েছেন, আপনি দেশ বানিয়েছেন। তাই আপনাদের সম্মান করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা মানুষ না।’ খুব বেশি এক্সাইটেড হয়ে পড়েছিলেন। তবে তার অনেক কথাই ফেলে দেওয়ার মতো ছিল না। যখন বাড়ি ফিরছিলাম বারবার ভাবছিলাম, এমন মানুষ যেমন আছে, বিপরীত মেরুর মানুষও আছে। একসময় খুব জোর দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। আমার মনে হচ্ছিল দেশের সব মানুষের একই অনুভূতি।

    আসলে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী আমাদের জন্য সমস্যা না সমাধান, ভালো না মন্দ বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। ভালো পরিচালনা করতে পারলে সমুদ্র মন্থন করে যেমন করে অমৃতের সন্ধান পায়, আবার গরল বা বিষ তোলে- ব্যাপারটা আমাদের ওপর। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়েছিলাম। প্রথম দিকে শুধু জান বাঁচাতে পারলেই খুশি। কিন্তু ভারতের মাটিতে পা দিয়ে জান বেঁচে গেলে আরও অনেক মানবিক সুযোগ-সুুবিধার প্রয়োজন দেখা দেয়। সরকার ও ভারতবাসী সাধ্যমতো সেসব মেটানোর চেষ্টাও করেছে। কিন্তু তার পরও ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব যেমন, তেমনি বিদ্বেষও খুব একটা কম নয়। স্বাধীনতার পর ভারতীয় সৈন্য একদিনও থাকুক আমাদের সহ্য হচ্ছিল না। দখল করে নেয় কিনা, স্থায়ী ঘাঁটি বানায় কিনা- নানা প্রশ্ন, নানা সন্দেহ ছিল। ভারতীয় বাহিনী আমাদের গাড়িঘোড়া, সব অস্ত্র নিয়ে গেছে কত অভিযোগ। কিন্তু আমি এখনো বুঝি না, ভারতের পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া অস্ত্র কুড়িয়ে নেওয়ার প্রয়োজন কী? হ্যাঁ, কারিগরি জ্ঞানের জন্য কোনো দরকার হলে হয়তো নমুনা নিতে পারে। কিন্তু লোহার বোঝা বয়ে লাভ কী? কিন্তু আমাদের অনেকেই মনে করে ভারতীয় সৈন্যরা ফিরে যাওয়ার পথে পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া সব অস্ত্র-গাড়িঘোড়া নিয়ে গেছে। এর ৯৫ ভাগ মিথ্যা। যারা আশ্রয় না দিলে জীবন বাঁচত না, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনতে অনেকের খুব একটা বাধেনি। যারা ভারতকে দেখেছে অভিযোগ হয়তো তারা করেনি, পাকিস্তানের পক্ষের লোকেরাই বেশি করেছে। কিন্তু ওসবের জোরদার প্রতিবাদ তেমন কেউ করেনি। তাই বলছি, যে কোনো জিনিসের পরিচালনাই সব থেকে বড় কথা। মুক্তিযুদ্ধে দেখতে দেখতে কত বড় কাদেরিয়া বাহিনী গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন আপ্রাণ চেষ্টা করেও সশস্ত্র বা নিরস্ত্র কোনো কিছুই করতে পারব না। কারণ সবকিছুর জন্য একটা পরিবেশ দরকার। মিয়ানমার সরকার এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সু চি বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম অশান্তির প্রতীক। সে জন্য তিনি বিশ্ববাসীর যে নিন্দা পেয়েছেন, আমরা আশ্রয় না দিলে তার দ্বিগুণ বা তারও বেশি নিন্দার কারণ হতাম। এখন আশ্রয় দিয়ে তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব। ২৫ আগস্ট থেকে অক্টোবরের ১৪ তারিখ এ পর্যন্ত সরকারের ভা-ার থেকে এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি। শরণার্থী সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, তখনো কিছুই খরচ করতে হবে না তা যেমন নয়, ঠিক তেমনি রোহিঙ্গাদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও অন্যান্য কাজে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক সর্বক্ষেত্রে পৃথিবীতে যে শ্রেষ্ঠ আসন দখল করব না সেটাও সত্য নয়। অনেক বহুজাতিক সংস্থা তার উৎপাদিত পণ্যের জন্য কোটি কোটি টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ করে জনপ্রিয় করতে। পৃথিবীতে একটি রাষ্ট্র জাতি হিসেবে রোহিঙ্গা সমস্যা বা ঘটনার সুন্দর সমাধান আমাদের জন্য বিশ্বব্যাপী এক শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞাপন হতে পারে।

    আগেই বলেছি, আমরা আশ্রয় না দিয়ে সীমান্ত বন্ধ করে রাখলে বর্মি সামরিক জান্তা ও সু চির চেয়ে অনেক বেশি নিন্দিত হতাম। আর এখন যদি তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারি, তাহলে ঘৃণিত বা নিন্দিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আমাদের প্রথমেই প্রয়োজন ছিল একটা ইস্পাত কঠিন জাতীয় ঐক্য। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলা না হলেও সফল হয়েছি বলা যায় না। জাতীয়, আন্তর্জাতিক, কূটনীতিক ক্ষেত্রে আমরা বহুল অংশে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতা দীর্ঘদিন বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। শুধু সরকারই একটা জাতীয় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারে না, এ জন্য জাতীয় চেতনার দরকার। জাতীয় চেতনা ভোঁতা হয়ে গেলে কোনো কিছুতেই ভালো হয় না।

    রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে মুসলমান হিসেবে আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সব জাতি, সব ধর্মের মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। খুব বেশি দূরে যেতে চাই না, ১০ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে তার মধ্যে এক-দুই মাসেই পাঁচ-ছয় লাখ। কী অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে তারা এসেছে এবং দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছে। এই সময় পাহাড় নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে- এসব বললে মাথার ওপর আসমান ভেঙে পড়বে। আমাদের দেখা দরকার মানুষগুলোকে মানুষের মতো জায়গা দিতে পারছি কিনা। শোনা যায়, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ৪০ লাখ মহিলা কর্মী। আরও ৩০-৪০ লাখ তো যুবকর্মীও হবে। বেসরকারিভাবে যদি ৪০-৫০ লাখ কর্মী গার্মেন্টসের কাজে লাগতে পারে, তাহলে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের দেশ, আমাদের সরকার পাঁচ-সাত লাখ লোকের জন্য ২০-৫০টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি করতে পারে না? লোহার স্ট্রাকচারের ওপর ফ্যাক্টরি দাঁড় করতে ক’দিনের দরকার। বার্মিজ মহিলাদের হাতের কাজ ভালো। তারা যে যে কাজ করতে পারে সেই কাজের ব্যবস্থা করে তাদের উপার্জনে তারাই চলতে পারবে, কারো কাছে হাত পাততে হবে না। দুই-চার-ছয় মাস বা দু-এক বছরে সমাধান হয়ে গেলে ওই সব কলকারখানা নির্বিবাদে আমাদের লোকেরা ব্যবহার করতে পারবে। তাদের অনেকেই ছিলেন লবণচাষি, অনেকেই মাছ ধরতেন। আমরা তাদের লবণ চাষ, মাছ ধরা, বৃক্ষরোপণ, অনাবাদি জমি চাষাবাদ করা, এবার সবজির যে দাম রংপুর-বগুড়া থেকে রাজধানীতে শাকসবজি আসে।

    কক্সবাজার-চিটাগংয়ের দিক থেকে আমরা অফুরন্ত শাকসবজি, ফলমূল পেতে পারি। যুবক ও মেয়েরা খুব আনন্দে যে কাজ করতে পারে, সেই কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বিপুল শিশু এসেছে। তাদের শুধু খেতে দিলেই চলবে না, তাদের যোগ্য করে তুলতে হবে। তা করতে গেলে স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে হবে। একটা সুন্দর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে হঠাৎ কোনো মহামারী দেখা দিলে কয়েক দিনে যদি কয়েক হাজার মারা যায় সর্বনাশ হয়ে যাবে। কেউ কি এসব ভেবে দেখেছি। কূটনৈতিক-রাজনীতিকভাবে এ রকম সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও আমরা কেন পরাজিত বা ব্যর্থ হব? পৃথিবীর অনেক দেশ রোহিঙ্গা প্রশ্নে আমাদের পাশে। এখন আমাদের পাশে থাকাই মানে মানবতার পাশে থাকা। অযথা অন্যের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে নিজেদের দিকে দেখা দরকার। দেশে শত্রুর অভাব নেই। এতদিন এত সুশৃঙ্খলভাবে তারা আছে কেউ উসকানি দিয়ে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে ফেলতে পারে। সেদিকে শুধু সরকারের নয়, সমাজেরও নজর রাখতে হবে। এ কাজগুলো আমরা যত ভালো করব, যত বেশি দেশে-বিদেশে সফল হব, ততই লাভবান হব। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন, বিষয়গুলো শুধু একচোখে বা একদিক থেকে না দেখে সবদিক থেকে দেখা দরকার। রোহিঙ্গা প্রশ্নে আমাদের সফলতার পাশাপাশি বিফলতার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। তাই সাবধান...

    লেখক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক

    সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close