সামাজিক মেলবন্ধন বাড়াতে ‘পাড়া উৎসব’
শহরে প্রচলিত একটি কথা আছে, ‘ঘরে কেউ মারা গেলেও পাশের বাসায় টের পায় না।’ কারণ শহুরে ব্যস্ততা আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা। এতে শিশুরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয় না। খেলাধুলার সুযোগ পায় না। খেলাধুলা ও সামাজিক মেলামেশার অভাবে অনেক কিশোর মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তবে এ সমস্যা থেকে উত্তোরণ ও সামাজিক মেলবন্ধন বাড়াতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজন করে ‘পাড়া উৎসব’।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিলো দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্য সেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরও ছিলো উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নামান খেলার সামগ্রী।
সম্পর্কিত খবর
রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কের বাসিন্দাদের নিয়ে আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধন করেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘পাড়া উৎসব’।
এ সময় রবার্ট মিলার মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আয়োজন ঘুরে দেখেন। তাকে দেশীয় পিঠার স্টলে পিঠা আপ্যায়ন করানো হয়। পরে তিনি ম্যাজিক শো, বায়োস্কোপ ও পুতুল নাচ দেখেন। এছাড়া তিনি আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ক্যারাম ও দাবা খেলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ‘পাড়া উৎসবের’ আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি।
আয়োজকরা জানান, শহুরে জীবন মানুষকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেখানে প্রতিবেশীদের নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। এখানে একই এলাকার ভেতরে এক প্রতিবেশীর কাছে অপর প্রতিবেশীকে আগন্তুক বলে মনে হয়। যা সামাজিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রতিবেশী কমিউনিটিকে’ দুর্বল করে ফেলে। প্রতিবেশিরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও কথা হয় না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/পিআই