• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সভাপতিমণ্ডলীতে তিন নতুন মুখ

প্রকাশ:  ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:১৩ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও শাজাহান খান।

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হল, তাতে সভাপতিমণ্ডলীতে এসেছে তিন নতুন মুখ। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই জানিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন তিনজনকে অন্তর্ভুক্তির কথা বলেন। গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পান।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের নাম ঘোষণা করেন।

পুরনো সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল‌্যাহ, সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান খান ও আবদুল মতিন খসরু। তারা সবাই বহাল রয়েছেন।

১৯ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে পদাধিকার বলে সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

২১তম কাউন্সিলে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানের নাম সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ছিল বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। জাহাঙ্গীর কবির নানক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সে আসনে মনোনয়ন পান সাদেক খান। গুঞ্জন ছিল, নির্বাচনে মনোনয়ন না পেলেও টেকনোক্র্যাট হিসেবে নানক স্থান পাবেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এর আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নানকের ঠাঁই হয়নি মন্ত্রিসভাতেও। তবে নির্বাচনের সময় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘বুঝিয়ে-শুনিয়ে’ একতাবদ্ধ করতে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসিত।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসন থেকে একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। নানক, বি এম মোজাম্মেল হক ও বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিভেদ মিটিয়ে দল গোছানোর। সে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে ছিলেন না আব্দুর রহমান। এর আগে, ২০১৬ সালের কাউন্সিলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে স্থান পান তিনি। ওই সময় সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।

শাজাহান খান আগের মেয়াদে নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি দায়িত্ব পাননি।

তীব্র শীতের কারণে এদিন দলীয় সভাপতির নির্দেশনায় কাউন্সিল অধিবেশনের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়। নতুন কমিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা বিকালে হওয়ার কথা থাকলেও তা সেরে ফেলা হয় দুপুরেই। রেওয়াজ অনুযায়ী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করলে মঞ্চে আসে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে এ কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সাইদুর রহমান।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু সভাপতি পদে আবারও শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন দেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য।

অন্য কোনো নামের প্রস্তাব না থাকায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শেখ হাসিনাকে টানা নবমবারের মত সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষায়, তিন যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোনা ‘বিকল্প নেই’। ফলে সভাপতি পদে যে কোনো পরিবর্তন আসছে না তা আগেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। আলোচনা ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।

নির্বাচন কমিশনের সামনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তাতে সমর্থন দেন।

এই পদের জন্যও অন্য কোনো নামের প্রস্তাব আসেনি। ফলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

পূর্বপশ্চিম/এসএস

আওয়ামী লীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close