• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

তিন দিবসকে ঘিরে মহাব্যস্ত জীবননগরের ফুল চাষিরা

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৯
সালেকিন মিয়া সাগর, চুয়াডাঙ্গা

সকল বয়সের মানুষের হাতে ফুল তুলে দিতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগরের ফুল চাষিরা। ফুলের ক্ষেত থেকে সময়মত পর্যাপ্ত ফুল পেতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে তিন দিবসে ফুল বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে এ এলাকার ফুলচাষিরা দিন রাত ফুল ও ফুলগাছের পরিচর্যা করছেন।

জীবন নগরের ফুল চাষিরা বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ফুল বাজারে সরবরাহ করতে শুরু করেছে নানা প্রস্তুতি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা বসন্ত, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দুটি দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে মুখিয়ে আছেন দেশের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। মানুষের মনের খোরাক মেটাতে জীবন নগরের চাষিরা এখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ফুল দেরিতে ফোটাতে গোলাপের কুঁড়িতে পরিয়ে রাখছেন ক্যাপ। ফলে বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল বাজারে দেয়া নিশ্চিত হবে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্যাডিওলাসসহ নানা রঙের ফুল। চোখ ধাঁধানো এই সৌন্দর্য কেবল মানুষের হৃদয়ে অনাবিল প্রশান্তিই আনে না, ফুল চাষ সমৃদ্ধিও এনেছে অনেকের জীবনে। স্বল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় ফুলেল স্নিগ্ধতায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ফুল চাষীরা।

এবারের ভালোবাসা দিবসে ফুলের যেমন উৎপাদন বেশি। তেমনি চাহিদা অন্যবারের তুলনায় বেশি বলে মনে করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। তাই শহর থেকে নগর ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী ফুলের অর্ডার নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ক্ষুদ্র পাইকারী ব্যবসায়ী কামরুল জানান, সামনে ভেলেনটাইনডেতে ফুল বিক্রি বেশি হবে। বাজারে জারবেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদাই বেশি। কৃষকরাও দাম ভালো পাবে। কেউ জীবননগরকে ফুলের রাজধানী ফুলের গ্রাম বলে থাকে। চুুুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগর বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ফুলের চাষ হয়। জীবননগর বাঁকা, মিনাজপুর, মনোহরপুর, মানিকপুর, নারায়নপুর, উথলীসহ অসংখ্য গ্রামের মাঠ জুড়ে চারিদিকে শুধু ফুলের সমারোহ।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আনুমানিক ৪০টি জেলায় সরবরাহ করা হয় জীবননগরের এই বিভিন্ন জাতের ফুল। জীবননগর প্রায় ১ হাজার ফুল চাষী উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে ৭০ থেকে ১শ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করছে ।

কৃষি কর্মকর্তা আলী জিন্নাহ বলেন, ২০১৮ সালে শুধু জীবননগর থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। ফুল চাষকে লাভজনক করে তুলতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে ফুল রফতানির জন্য সব থেকে বেশি সমস্যা পরিবহন ব্যবস্থা। বিভিন্ন ট্রাক, বাসের ছাদে ও আলম সাধুতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোতে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যায়।

/পিবিডি/পি.এস

চুয়াডাঙ্গা,দিবস,ফুল,চাষি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close