• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা গুলশান থানায়

প্রকাশ:  ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:২৪ | আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩৪
আদালত প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার একটি মানহানির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রাজধানীর শুলশান থানায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। রোববার সন্ধ্যার পর ওই পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌছে দিয়েছে আদালতে কর্মরত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগ।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা পাওয়া এবং গুলশান থানায় তা পৌছে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকার নিম্ন আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান। রাত সোয়া ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার মানহানির মামলায় আজ সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর তা গুলশান থানায় পৌছে দিয়েছেন। তবে পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌছায়নি বলে জানিয়েছেন গুলশান জোনের এডিসি আব্দুল আহাদ।

সম্পর্কিত খবর

    আনিসুর রহমান বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের প্রসেসারবার আরিফ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, রবিবার সন্ধ্যার পর সিএমএম আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনের কার্যালয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরোয়ানা দুইটি পৌছে দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর মানহানির ওই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর নবীর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর এ বি সিদ্দিকী ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়েছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত ২২ মার্চ তা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে ১১ জুন হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন আদালত।

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। ওই মন্ত্রিপরিষদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রকাশ্য ও আত্মস্বীকৃত পাকিস্তানের দোসর হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- সেই জামায়াত, ছাত্রশিবির, আলবদর ও আলশামস সদস্যদের মন্ত্রী ও এমপি বানান। তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি করা হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close