• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

তিতাসের শীর্ষ পদে বসতে বেপরোয়া সিন্ডিকেট

প্রকাশ:  ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১৫ | আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাসের এমডি পদে পচ্ছন্দের লোককে বসাতে বিশাল বড় অংকের আর্থিক বাজেটসহ সিনেমেটিক মিশন গ্রহণ করেছে বিশেষ একটি মহল। এমনকি গাজীপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ জোনগুলোতে নিজেদের লোক বসানোসহ অবৈধভাবে শিল্প গ্যাস সংযোগ, ক্যাপটিভ পাওয়ারে লোড বৃদ্ধি, বিল কমানো, মিটার টেম্পারিং এর সহয়তায় প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তিতাসের নিজস্ব লোকরাই এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

সূত্র জানায়, তিতাসদের এমডি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। ফলে শীর্ষ পদসহ তিতাসের গুরুত্বপূর্ণ জোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্যেএকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ব্যাপক দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে তিতাস গ্যাস থেকে অপসারিত হন সাবেক এমডি প্রকৌ. নওশাদ ইসলাম। বর্তমান এমডি প্রকৌ. মীর মসিউর রহমানকে তিতাস গ্যাসের এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার পর উক্ত শীর্ষপদ থেকে তাঁকে অপসারণ করার জন্য এই সিন্ডিকেট গঠন করা হয় পুনরায় তিতাসের এমডিসহ গুরুত্বপূর্ণ জোনের পদগুলো গ্রহণ করার জন্য।

    দুদক সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে প্রতি সপ্তাহে তিতাসের বর্তমান ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে লিখিত অভিযোগ আসে যার অধিকাংশই তদন্তযোগ্য নয় এবং সকল অভিযোগের ধরণ একই। তদুপরি দুদক নিজস্ব উদ্যোগে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত করছে।

    মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, তারেক শিকদার ও হাবিব নামের তারেকের ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী এক বন্ধু প্রতি মাসে একটি করে অভিযোগ দাখিল করতেন। পরবর্তীতে বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মন্ত্রনালয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়।

    জানা যায়, তিতাসের গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ডিএমডি পদ তৈরী করে নতুন পদে অন্য কর্মকর্তা পদায়ন করায় সিন্ডিকেট তাদের একধাপ সাফল্য অর্জন হয়েছে। ওই দুই জন ডিএমডির একজন জামায়াতপন্থী যাকে ২০১৬ সালে ওএসডি করা হয়। আরেকজন ২০০১-২০০৬ সালে সরাসরি বিএনপি’পন্থী প্রকৌশলী দলের সদস্য থাকলে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সদস্য খাতায় নাম লিখিয়েছেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের কর্মরত কয়েকজন কর্মকতা জানান, বর্তমান এমডির আমলে সবচেয়ে বেশি অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন করা হয় যা আগে কখনো হয়নি। শুধু গাজীপুর জোনেই প্রকৌশল ছাব্বের আহমেদ চৌধুরী গত দেড় বছরে ১২৬ কি.মি. অবৈধ লাইন তুলে ফেলেছেন। যেখানে ২০১৩-২০১৬ পর্যন্ত আড়াই বছরে মাত্র ৯ ক.মি. অবৈধ লাইন তোলা হয়।

    নাম না প্রকাশ শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর জোনের নথি প্রক্রিয়া অনেক স্বচ্ছ যা আগে কখনই ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়াতে প্রকাশিত বিষয়টি স্পষ্টতই পরিকল্পনা মাফিক ব্ল্যাক মেইলিং- যেকোন নাগরিকের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভয়ংকর খারাপ সিগন্যাল। তিতাসের এই ভয়াবহ সিন্ডিকেট তিতাস গ্যাস, পেট্রোবাংলা, মন্ত্রণালয়, ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে যা ভবিষ্যতে কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না তিনি মন্তব্য করেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close