‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বিপিএম পিপিএম বলেছেন, এক সময় দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব ছিল। বিভিন্ন বাহিনীর দ্বারা দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাত পারতো না। মানুষ হত্যা, লুটতরাজ ও মানুষকে অপহরণ করে লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। চট্টগ্রামেও বিভিন্ন বাহিনী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করে এদেশের মানুষকে সুখে-শান্তিতে রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ সহ্য করতে না পেরে বিএনপি-জামাত জোট দেশে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশের আনাচে কানাছে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তুলেছে।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে যেখানে জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়া গেছে সেখানে হানা দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে। দেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এ স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে পুলিশ-জনতা একত্রিত হয়ে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের কাছে গিয়ে কোন মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে দোষী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশ ভাল কাজ করলে জনগণের সাথে সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে। জনগণের কাছে পুলিশ বাহিনীর জবাবদিহিতা থাকবে। তাহলে পুলিশ-জনগণ দূরত্ব কমে আসবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক কল্যাণে যেকোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় পুলিশ ও জনগণ একসাথে কাজ করবে। আজ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ইং বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ড. এস এম মনির উজ জামান, সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, চিটাগাং চেম্বারের পরিচালক মাহবুবুল আলম, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি শুকলাল দাশ, সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মো. মোজাফফর আহমদ, জেলা ইউনিট কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, কমিউনিটি পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, জিপিএস গ্রুপের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে নবনির্মিত পুলিশ ব্যারাকের উদ্বোধন ও ৪তলা ভীত বিশিষ্ট অস্ত্রাগার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মোনাজাত করেন। সুধী সমাবেশে পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য, সাংবাদিক ও সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।