• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ছাত্রলীগের হাতে আওয়ামী লীগ নেত্রী লাঞ্ছিত

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৭:১১ | আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৭:৪১
কক্সবাজার প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরি। এ সময় কলেজ শিক্ষকরা ছাত্রলীগকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও লাি ত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী সরকারি কলেজে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। এসময় বক্তব্যে তাঁর (নাজনীন) নাম ঘোষনা করলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাখায়াত হোসেন হট্টগোল শুরু করে নাজনীন সরওয়ারকে মারতে তেড়ে আসেন। এসময় উশৃঙ্খল ছাত্রলীগ নেতারা নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ সেøাগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং তাকে শারীরিক হেনেস্তা করে ছাত্রলীগ নেতারা। পরে কাবেরী বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন ।

সম্পর্কিত খবর

    শনিবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরি।

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী অভিযোগ করেন বলেন, ‘১৭ মার্চ শনিবার সকালে কক্সবাজার সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী পালন করতে যাই। এসময় বক্তব্য দেয়ার জন্য আমার (কাবেরি) নাম ঘোষণা করলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত হোসেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অশালীন গালিগালাজ শুরু করে। ছাত্রলীগ নেতা শাখাওয়াত চেয়ার নিয়ে আমাকে মারতে তেড়ে আসেন।’

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মেছি। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের সাথে ছিলাম। দীর্ঘ এক যুগ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। আজ এই ছাত্রলীগ আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করলো। এমনকি তারা আমাকে শারীরিকভাবেও হেনস্তা করে ছাড়লো।’

    তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটাই কি বঙ্গবন্ধুর আদশে রাজনীতির পাওনা?’

    কাবেরি বলেন, ‘পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমি যখন বাধ্য হয়ে ম থেকে নেমে আসছিলাম, তখন ছাত্রলীগের ঐ গ্রুপটি আমাকে কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।’ ‘ছাত্রলীগ নামে এরা সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেত্রী বলেন, ‘এদের নেতৃত্বে কলেজের জমি দখল হয়। আমি তার প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ ও মারতে তেড়ে আসে। তাদের হাতে শিক্ষকরাও জিম্মি।

    অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পূর্বপশ্চিমকে বলেন, কাবেরি আপাকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কলেজ প্রশাসন দাওয়াত না দেয়া সত্বেও কলেজে আসেন। হঠাৎ অনুষ্ঠান স্থালে এসে মে উঠে মাইক নিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা জায়গা দখল করছে। এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কলেজ প্রশাসন কাবেরি আপাকে চলে যেতে বাধ্য করেন।

    আমরা কাবির আপাকে লাি ত করি নাই এবং যে অভিযোগ তুলেছেন তার জন্য কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

    কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকের হোসেন পূর্বপশ্চিমকে বলেন, কাবেরি আপা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলবাজ ও সন্ত্রাসী বলায় অনুষ্ঠান মে সাধারণ-ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমি তামিয়ে দেয়। কাবেরি আপা আমাদের অবিভাবক, কিন্তু তিনি কেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাি ত করার অভিযোগ তুলতো জানি না।

    কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে অত্যন্ত আনন্দ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পাদিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানস্থলে নাজনীন সরওয়ার কাবেরী স্বেচ্ছায় প্রবেশ করলে শিক্ষার্তদের মাঝে মৃদু উত্তেজনা ভাব লক্ষ্য করা যায়। উপস্থিত সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া অনুষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সুন্দর ও সুচারুরুপে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সক্রিয় সহযোগিতা ছিল।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close