শনাক্ত হওয়া মরদেহ দেশে আসবে সোম অথবা মঙ্গলবার

নেপালে দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৭ লাশ সোম অথবা মঙ্গলবার দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভারগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।

ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির (টিইউ) টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিজেন শ্রেষ্ঠের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যে মরদেহগুলো শনাক্ত হয়েছে সেগুলো আপাতত হাসপাতাল মর্গে রাখা হবে। আর যেগুলো শনাক্ত হয়নি সেগুলো আগামী সোমবার শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশিদের মরদেহ আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার দেশে পাঠানো হবে। যেগুলো শনাক্ত করা যাবে না সেগুলো শনাক্তের জন্য তাদের পরিবার থেকে স্যাম্পল নেয়া হবে।

শনিবার রাতে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি (টিইউ) টিচিং হাসপাতালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, নেপালিদের মরদেহ রোববার রাতে তাদের স্বজনদের দেখানো হবে। আর নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ আগামীকাল দেখানো হবে।

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিসহ ২৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন নেপালের ১০ জন এবং চীনের একজন।

শনাক্ত বাংলাদেশিরা হলেন আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা সাইফুল্লাহ, জামান অনিরুদ্ধ, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, মিনহাজ বিন নাসির, মো. রবিউল হাসান, মো. মতিউর রহমান, মো. রফিকুজ্জামান, মোছা. আক্তারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, এস এম মাকসুদুর রহমান ও বিলকিস আরা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার পাইলট-ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

/এসএম