• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

'বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে'

প্রকাশ:  ২০ মার্চ ২০১৮, ১৬:১৩ | আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৬:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছে। এতে সরকার ও আওয়ামী লীগের কোন হাত নেই। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না তা নির্ভর করছে আদালতের ওপর। খালেদা জিয়ার কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। যথা সময়েই নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্র্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের কর্মীরাও নেতাদের কথা বিশ্বাস করে না। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অন্তীম ঘন্টা বেজে যাবে। কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি না। আওয়ামী লীগের এমন কোন পরিকল্পনা নেই। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবেন। সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। বিএনপি নেতাদের বলবো, অহেতুক বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, বিভ্রান্তি না করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন।

সম্পর্কিত খবর

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। তারা প্রভু খুজে বেড়াচ্ছেন। বিদেশে আওয়ামী লীগের প্রভু নেই, বন্ধু আছে। বিএনপির জনগণের প্রতি আস্থা নেই। ভোটারদের কাছে আস্থা নেই। বিদেশী প্রভু খুঁজে বেড়ায়। যারা আগুন সন্ত্রাস করে, রাজাকারদের বন্ধু তাদেরকে আর দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা এখন উন্নয়শীল দেশে এসেছি। এটা ধরে রাখতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারলে পিছনে নিয়ে যাবে। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে। খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বিএনপির মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

    প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কামরুল ইসলাম এম.পি বলেন, প্রয়াত জিল্লুর রহমান দুর্দিনে শুধু আওয়ামী লীগের হালই ধরেননি, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আপনজন। তিনি জাতির জনকের সঙ্গে এবং তারকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১/১১ সময়ের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দলকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি শুধু দলকেই ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেননি, গাউন পরে জাতির জনকের কন্যাকে জেল থেকে বের করতে আইনী লড়াইও করেছেন। তিনি সারাজীবন নীতি ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই জননেতা হয়েছেন। তিনি ছিলেন সাদামাটা জীবনের অধিকারী। নীতির প্রশ্নে আপোষহীন।

    সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম এম.পি। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, আওয়ামী লীগ নেত্রী বৃষ্টি রাণী সরকার, পারুল আক্তার লোপা, শাহ আলম, আখতারুজ্জামান খোকা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন, হাবিব উল্লাহ রিপন, শেখ মো. নওশের আলী, রোকন উদ্দিন পাঠান, অভিষেক ঘোষ প্রমুখ।

    প্রধান বক্তা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে-দুর্দিনে জিল্লুর রহমান নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছে। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করেছেন। দলের সাথে কখনো বেঈমানি করেন নাই। তিনি ছিলেন তৃণমুল নেতাকর্মীদের নেতা। বন্ধু ও ভাইয়ের মত সবার সাথে আচরণ করতেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রায়ের সাজা আরো বেশী হওয়া দরকার ছিল। বিএনপি নেতারা বিচার বিভাগকে হুমকি দিচ্ছেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close