• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘প্রাধ্যক্ষের অপসারণ না হলে নতুন কর্মসূচি’

প্রকাশ:  ২০ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৪২ | আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল কয়েকজন ছাত্রীকে বের করে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানার পদত্যাগ দাবি করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। অবিলম্বে তাকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।

সম্পর্কিত খবর

    সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, গভীর রাতে হল থেকে ছাত্রীদের বের করে দেয়ার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে কাউকে অভিভাবক ছাড়া বের করে দেয়া হয়। হুমকি দেয়া হয় মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার জন্য। হল থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেয়া হয়।

    যদি কোনো নির্যাতন, হামলা ও মামলায় কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয় তবে ফের আন্দোলনে দাবানল জ্বলে উঠবে বলেও হমকি দিয়ে নুরুল হক নূর বলেন, অবিলম্বে কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করুন নতুবা নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

    বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে থাকতে চায়। হেনস্তা করবেন না, রাস্তায় আন্দোলনে নামাবেন না। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে কি হয় ইতোমধ্যে দেখেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষার্থী হেনস্তা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাশেদ বলেন, আমাদের দাবি ছিল কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজ মুখে কোটা ব্যবস্থাই না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার প্রতি আমরা আস্থাশীল। আশা করছি অতি দ্রুত সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করবেন। প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারির পদক্ষেপ নেবেন।

    পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে ফের সেখানে জড়ো হয়।

    অন্যদিকে রাজু ভাস্কর্যের উত্তর দিকে ফুটপাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ।

    কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে তা পরিবর্তন করে রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

    ‘ঢাবি প্রশাসন তুমি কার? নিপীড়কদের নাকি নিপীড়িতদের?’, ‘রাতের অন্ধকারে মেয়েদের হল থেকে বহিষ্কার কেনো?’, ঢাবি প্রশাসন তোমায় প্রশ্ন,পুলিশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে আন্দোলনে গুলি কেনো?’, ‘হলে হলে দখলদারিত্ব ছাত্র নিপীড়ন গেস্টরুমের নামে নির্যাতন রুখে দাঁড়াও’- এসব শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন অসংখ্য শিক্ষার্থী।

    উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, ফোন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি কয়েক জনকে হল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তবে হলের প্রভোস্ট সাবিতা রেজওয়ানা বলেন, আমরা অনেক ছাত্রীকে তদন্তের জন্য ডেকেছি। তাদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব ছড়াচ্ছে কি-না।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close