• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গ্রেফতার হননি রনি, ঘরছাড়া রাশেদ

প্রকাশ:  ২০ এপ্রিল ২০১৮, ২০:৩৯ | আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ২১:০১
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

চট্টগ্রামে চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ মামলা হলেও এখনও গ্রেফতার হননি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

এদিকে, রনির ভয়ে ঘর ছেড়েছেন কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া। নিজের বাসা ছেড়ে এখন সপরিবারে আত্মীয়ের বাসায় থাকছেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর

    বৃহস্পতিবার নগরের পাঁচলাইশ থানায় নুরুল আজিমসহ ছাত্রলীগের আরেক কর্মীর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন রাশেদ মিয়া। অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

    রাশেদ মিয়া জানান, নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় মামলা করার পরপরই তিনি (নুরুল আজিম) লোকজন নিয়ে তাঁর বাসায় যান। সেখানে না পেয়ে তাঁর কোচিং সেন্টারে যান। বাসায় কাউকে না পেয়ে হুমকি দিয়ে আসেন। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জীবননাশের আশঙ্কায় তিনি বাসায় না থেকে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়াকে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিমের চড় মারার ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    ভিডিও চিত্রটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারির বিকেলের। ওই দিন বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট থেকে ৩২ মিনিট পর্যন্ত ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, রাশেদ মিয়া কোচিং সেন্টারে তাঁর কার্যালয়ে বসে আছেন। সেখানে ঢুকে নুরুল আজিম উত্তেজিত হয়ে যান। একপর্যায়ে রাশেদ মিয়ার চুল ধরে টানাহ্যাঁচড়া করতে থাকেন। এরপর চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। ছয় মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, রাশেদ মিয়াকে ১৩টি চড় মারেন নুরুল আজিম। এ সময় হাত জোড় করে ছিলেন রাশেদ মিয়া।

    পাঁচলাইশ থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, নুরুল আজিম ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন কোচিং সেন্টারে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি জিইসি মোড়ে ওই কোচিং সেন্টারে গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর ১৩ এপ্রিল নগরের মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় রাশেদকে একা পেয়ে মারধর করেন নুরুল আজিম ও ছাত্রলীগ কর্মী নোমান চৌধুরী। এ সময় তাঁরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা চান। টাকা নেই জানানো হলে নুরুল আজিমের নির্দেশে নোমান চৌধুরী সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসায় গিয়ে রাশেদের স্ত্রীর পাসপোর্টসহ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। বাকি টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আব্দুর ওয়ারীশ খান বলেন, কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়া বাদি হয়ে নুরুল আজিম রনি ও তার বন্ধু নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে সত্যতা নিশ্চিত হয়েই অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    এদিকে, ঘটনার পরই আত্মগোপনে চলে গেছেন নুরুল আজিম রনি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

    তবে বৃহস্পতিবার রনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদের কাছে তিনি সাড়ে নয় লাখ টাকা পাবেন। ওই টাকার জন্য কোচিং সেন্টারে গিয়েছিলেন।

    এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে নুরুল আজিম রনিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close