• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অভিভাবকরা লজ্জা পেয়ে স্বেচ্ছায় মেয়েদের নিয়ে গেছেন, দাবি প্রভোস্টের

প্রকাশ:  ২০ এপ্রিল ২০১৮, ২১:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে হলটির প্রভোস্ট ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান বলেছেন, ‘এশা একজন শিক্ষার্থীর রগ কেটে দিয়েছিল বলে যে গুজব ১০ এপ্রিল ছড়ানো হয়েছিল, মোবাইল চেক করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। যারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদের অভিভাবকদের হলে ডেকেছি। তাদের ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিওগুলো দেখানো হয়েছে। তখন অভিভাবকরা নিজেরাও লজ্জা পেয়েছেন এবং তারা স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েদের নিয়ে গেছেন।’

তিনি বলেন, এর আগে হল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি ১০ এপ্রিলের ঘটনায় জড়িত হিসেবে ২৬ জনের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদে জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সুফিয়া কামাল হলের যে চার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে দুজনের নাম ওই ২৬ জনের মধ্যেও রয়েছে। ছাত্রলীগ সুফিয়া হল শাখার সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে রগ কাটার গুজব ছড়ানোসহ তাকে হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বাকি দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে তারা হলের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন।

সম্পর্কিত খবর

    মধ্যরাতে মেয়েদের হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. সাবিতা বলেন, ‘মেয়েদেরও অনেক সমস্যা থাকতে পারে। বিশেষ কারণে যদি হলের বাইরে যেতে হয়, তখন আমরা তাদের অভিভাবক বা আত্মীয়ের হাতে তুলে দেই। এটার বিধান আছে। যে তিনজন হল থেকে চলে গেছে, তাদের সিট বাতিল করা হয়নি বা বহিষ্কার করা হয়নি। বহিষ্কারের বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

    হল কর্তৃপক্ষের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এশার বিরুদ্ধে তার আরেক সহপাঠীর রগ কাটার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর পা কীভাবে কেটেছিল, জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘ওই মেয়েটি লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছে, এশার প্রতি তার আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই সে গ্লাসে লাথি দিয়ে নিজের পা নিজেই কেটেছে।’

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া তিন ছাত্রী হলেন—গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমীন শুভ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার লিজা ও গণিত বিভাগের পারভীন। রাত ১০টার দিকে পারভীন ও লিজা এবং রাত ১২টার দিকে শুভকে হল ছাড়তে হয়। অভিভাবকরা এসে তাদের নিয়ে যান। এ সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমির বাবা ধামরাই থেকে সুফিয়া কামাল হলে উপস্থিত হন রাত সাড়ে ১২টার দিকে। পরে তিনি একাই হল অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন।

    তবে এ বিষয়ে বের করে দেওয়া তিন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close