যুক্তরাজ্য বিএনপির অভিযোগ
'জয়ই তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে মারমুখি হয়ে ওঠেন'
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় গত মঙ্গলবার লন্ডনে বিএনপি কর্মীদের হামলার শিকার হন। ওইদিন স্থানীয় সময় বিকালে লন্ডনে ওয়েস্টমিনস্টারের দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
একে অনভিপ্রেত উল্লেথ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ঘটনাটির জন্য উপমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অশান্তি সৃষ্টির দায়ে তিনি আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।
সম্পর্কিত খবর
যুক্তরাজ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নাগরিক অধিকার। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলাম। উপমন্ত্রী নিজে থেকেই এগিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। আরিফ খান জয় বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলেন, বিক্ষোভ করে তোমরা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছো, এ অধিকার তোমাদের কে দিয়েছে? তোমাদের শাস্তি পেতে হবে।
এম এ মালেক বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে জয় মারমুখি হয়ে ওঠেন। এতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এভাবেই অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটে।
বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি জানান, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটানো এবং উত্তেজনা সৃষ্টির দায়ে ক্রীড়া উপমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করতে চলেছেন।
তিনি আরও জানান, আরিফ খান জয়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বিএনপির তিনজনকে আটক করেছিল। তাঁরা তিনজনই এখন জামিনে আছেন।
স্থানীয় নেতাদের ধৈর্য্যের প্রশংসা করে যুক্তরাজ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, অামাদের নেতারা এদিন দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন। তারা উত্তেজিত বিক্ষোভকারী নিবৃত্ত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো খারাপ দিকে মোড় নিতে পারতো।
এদিকে লন্ডনে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেনে ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় জানান, ঘটনার জন্য দায়ীদের এরই মধ্যে হাই কমিশন চিহ্নিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর উপর এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লন্ডনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।