চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ: তোফায়েল
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জিডিপি নিয়ে যে যাই বলুক না কেন তবে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।কারণ আমরা জানি আমাদের অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে।’তবে ‘অর্থনৈতিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অগ্রগতি করছে। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। আমাদের এখন ‘পজেটিভ ইকোনোমিক ডেভলপমেন্ট’।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে থাই পণ্যে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপমিন শোনা পুন্সে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশই বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) করতে আগ্রহী। আমরা এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। থাইল্যান্ড আমাদের (বাংলাদেশ) কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত করছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোও শুল্কমুক্ত অথবা ডিউটি ফ্রি করলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও জোরদার হবে।’
ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা, কেনাকাটাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের জনগণ থাইল্যান্ডে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে খুব সমস্যা হয়। এটা জটিল। বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডের ভিসা পদ্ধতি সহনীয় করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হবে বলে সরকার আশা করছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৭.২৮। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.৬৫ শতাংশ হয়েছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তথ্য দিয়েছে। তবে বিবিএস-এর দেওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ অথবা ৬.৬ শতাংশ। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার উল্লেখ করে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপমিন শোনা পুন্সে বলেন, ‘আমরা এটাকে আরও বাড়াতে চাই। দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুসুলভ। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কটা আরও জোরদার হবে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ থাই দূতাবাস ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ মেলা হচ্ছে।’
মেলায় মিলবে বিভিন্ন থাই পণ্য
‘থাইল্যান্ড সপ্তাহ ২০১৮’ শীর্ষক এ মেলায় গাড়ির যন্ত্রাংশ, শিল্পকারখানার যন্ত্র, ফল, খাদ্য, কোমল পানীয়, প্রসাধনী, স্বাস্থ্যসেবা, গার্মেন্টস ও ফ্যাশন সামগ্রী, জুয়েলারি, শিশুদের পণ্য, উপহার সামগ্রী, গৃহস্থালি ও আনুষঙ্গিক পণ্যসহ থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ফল পাওয়া যাবে।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ২৩ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ মেলা। মেলায় থাইল্যান্ডের ৪৫টি এবং বাংলাদেশের ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুম আর সামনের লনে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে। প্রথম দিনই ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশ ভালো। তারা বিভিন্ন পণ্য কিনছেন। আবার অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
মেলায় কথা হয় মডেল ও অভিনেতা অন্তু করিমের সঙ্গে। তার স্টল রয়েছে মেলায়। তিনি বলেন, আমি ব্যবসা করি প্রায় ১৭ বছর ধরে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি ১৫ বছর ধরে থাই পণ্যমেলায় অংশ নেই। থাই মেলায় প্রসাধনী, বেবিকেয়ার, স্টেশনারি পণ্য নিয়ে এসেছেন বলে জানান এই মডেল।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে এই মেলা। মেলায় কোনো প্রবেশ ফি নেই। আগত দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনের জন্য ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
ওএফ