• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ফটো ফিচার: সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে আদালত প্রাঙ্গনে মানববন্ধন

প্রকাশ:  ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:১৭ | আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:০৯
মাকসুদুল হক ইমু
ছবি: জীবন আহমেদ

সালমান শাহ। লাইফস্টাইল থেকে অভিনয় সবকিছু দিয়েই তিনি 'ঢাকার সিনেমায়' নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তিনি। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে তখন হঠাৎ করেই ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই নক্ষত্রের পতন ঘটে। রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে 'বাংলা সিনেমার' স্টাইল আইকন সালমান শাহর (চৌধুরী মো. ইমন) লাশ উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

    এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও এই মৃত্যুর স্বাভাবিকতা মিলেনি, মিলেনি কোনো কূল-কিনারাও। কেউ দাবি করেছেন এটি আত্মহত্যা আবার নায়কের মা ও ভক্তদের দাবি সালমানের মতো প্রাণবন্ত মানুষ এভাবে নিজেই নিজেকে মরণ দিতে পারেন না।

    তারা সালমানের মৃত্যুকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর যথাযথ তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি এখনো আন্দোলন-মানববন্ধনসহ নানা রকম কর্মকাণ্ডে সোচ্চার সালমান ভক্তদের বেশ কিছু সংগঠন।

    আজ ছিল পিবিআই এর পক্ষ থেকে সেই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আবারো চার মাসের সাময় চেয়েছে পিবিআই। এ বিষয়ে নায়ক শালমান শাহ’র মা পূর্বপশ্চিমকে বলেন, পিবিআই ডাক্তার, ডোম এবং আরো কিছু মানুষের সাক্ষী এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সময় নিয়েছে। যেহেতু ২৪ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, যেহেতু ডোম এবং ডাক্তার এই দুইটা আমাদের মামলার জন্য জরুরী সে কারণে আমরা সময় দিয়েছি। আগামী ২০ আগষ্টে আবারো তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে। এ সময়ের মধ্যে তোমরা যারা ইমনের ভক্ত আছো তারা গণসংযোগ চালু রাখবে। ​

    এসময় আলাদত প্রাঙ্গনে উপস্থিত সালমান শাহ ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সালমান শাহ কে আমরা আর পাবো না। কিন্তু আমরা তার হত্যার বিচার চাই। সালমান শাহ দুনিয়া থেকে গেছে ঠিকই কিন্তু সারা বিশ্বের ভক্তদের মাঝে সে ঠিকই বেঁচে থাকবে চিরকাল। আমি জানি, আমি যদি মরেও যাই, আপনারাই এই হত্যার বিচার চালিয়ে যাবেন।

    সালমান শাহ হত্যা মামলার আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাবো। এখন দ্রুত সব রিপোর্ট আসবে। বিজ্ঞ আদালত আমাদের চার মাসের সময় দিয়েছেন। আমরা আদালতের নির্দেশনা নিয়েছি যেহেতু এটা অনেক পুরাতন মামলা, তাই আদালত একটা লম্বা সময় দিয়েছেন যাতে আর সময় না লাগে। আদালত শেষবারের মত এই সময় দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে সালমান শাহের মৃত্যুর পর থেকে এটা হত্যা না আত্মহত্যা-সে বিতর্ক এখনো চলছে। জনপ্রিয় এই নায়কের স্ত্রী সামিরা চৌধুরী একে আত্মহত্যা বললেও মা নীলা চৌধুরী ও বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরী তা মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। তারা তখন রুবিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তবে এই ২৪ বছরেও এই মামলার মীমাংসা হয়নি।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close