• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান মেধাবী হলেও সরকারি চাকরি পাবে না: নৌমন্ত্রী

প্রকাশ:  ২০ মে ২০১৮, ০২:০৩
মাদারীপুর সংবাদদাতা

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল হলেও জামায়াত-রাজাকারদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরি না পায়। কেননা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সন্তান শুধু রাজাকারই হয়। তারা সরকারি চাকরি পেয়ে এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবে না। দেশ বিরোধীদের সন্তানরা সরকারি চাকরি পেলে আমাদের বহু কষ্ট আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে।

এ কারণে মেধাবী হলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামাত-রাজাকার আর আল-শামসদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরিতে ঢুকতে না পারে এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নব-নির্মিত চারতলা ভবন উদ্বোধনকালে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    মন্ত্রী আরো বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন জামায়াতীদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। যদি তা না হবে তাহলে কোটা বিরোধী মিছিলে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্লোগান হয়, কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করা হয়। মূলত কোটাবিরোধী আন্দোলন জামায়াত-রাজাকার আর স্বাধীনতা বিরোধীদের। তারা এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার নীলনকশা করছে।

    তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান আর যাই হোক তারা কোনোদিন স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চিন্তা করবে না। আর রাজাকারের সন্তান রাজাকারই হবে এবং রাজাকারের সন্তানের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী চিন্তা থাকবে।

    ভিয়েতনামের উদাহরন টেনে শাজাহান খান আরো বলেন, ভিয়েতনামে বিল্পবের পরে সে দেশে একটি আইন হয়েছিল, যারা বিপ্লবের বিরোধীতা করেছে, যারা সেদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তাদের পরিবার তিন পুরুষ কোনো সরকারি চাকরি সুযোগ-সুবিধা পাবে না। ভিয়েতনাম যদি করতে পারলে আমরা কেন পারব না। আমরাও সে দাবি উত্থাপন করেছি। এ বিষয়ে আমরা ৬ দফার দাবি জানিয়েছি।

    শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা ৬ দফা দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন। আমরা জাতির পিতার অর্জিত স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মূল করার জন্য ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করে দিয়েছেন। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বিনা বাক্যে মেনে নিয়েছি। এখন আমাদের একটি দাবি তুলতে হবে, কোনো জামায়াত-শিবির-রাজাকার, যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী তাদের পরিবারের কেউ মেধাবী হলেও চাকরি পাবে না। ওরা যদি চাকরি পায় তাহলে আমাদের দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করে দেবে।

    নৌমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধারণ করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকের মধ্যে লালন করে, যারা এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, তাদের সন্তানদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কোনো জামায়াত-রাজাকারের সন্তানদের জন্য নয়।

    বঙ্গবন্ধুর অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় ও এদেশে চিরতরে স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মূল করার জন্য আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান।

    টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সৈয়দা রোকেয়া শাজাহানের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন, উপজেলা আ. লীগের সভাপতি এম. এ মোতালেব মিয়া, পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ প্রমুখ।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close