‘ঈদের আগে হত্যার ভয় দেখিয়ে রমরমা বাণিজ্য চলছে’
ঈদের আগে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যার ভয় দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রমরমা বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সম্পর্কিত খবর
রিজভী বলেন, একদিকে জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে সরকারি চক্রান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। অন্যদিকে নিরীহ লোকদের ধরে হত্যা ও হত্যার ভয় দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলছে ঈদের আগে রমরমা বাণিজ্য। প্রত্যেক ঈদ মওসুমে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ধরনের রমরমা বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এখন গ্রেফতার বাণিজ্যের পাশাপাশি হত্যা-বাণিজ্য চলছে।
যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের অভিযোগ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় রাতে বিচার বহির্ভূতভাবে নিরীহ লোকদের হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদেরকে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি, যা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটের ময়দান ধ্বংসের সামিল। এর ফলে ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থাকবে না। এটি ভোটারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। এটি নির্বাচনী রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতাকে আটকে ফেলা হলো। ক্ষমতাসীন দলকে লাভবান করতেই ইসি নির্বাচনী এই আচরণবিধি সংশোধন করেছে। সিইসি চান না দেশে কোনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। এই নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ফলে আইনের চোখে সবাই সমান থাকল না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
/এফআইজে