কর্পোরেট ট্যাক্সে লেবেল প্লেইং হয়নি, প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি
সদ্য ঘোষিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কতিপয় কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এখানে লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা হয়নি। এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি নেহাদ কবিরের এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, শুধু কিছু ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। অথচ অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে গেছে যাদের করহার কমানো হয়নি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও করহার কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই করহার কমানোর ক্ষেত্রে কিছুটা লেবেল প্লেইং ফিল্ড মেনে করা উচিত।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে বলা হচ্ছে আমরা ব্যাংকারদের সুবিধা দিয়েছি।
প্রকৃত অর্থে তারা সৌভাগ্যক্রমে সুবিধা পেয়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে কমানো হলে অনেক রেভিনিউ কম হতো। তাই কমানো সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের কর্পোরেট করহার কমিয়েছি; যাতে তারা সুদের হার কমাতে পারে। ইতোমধ্যে তারা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের ওপরে একটা আঘাত হবে কারণ তাদের রেট একটু বেশি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এখান থেকে আসে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই কারণে ব্যাংকের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না।
আমরা এটাকে অটোমেশনের আওতায় আনবো। সঞ্চয়পত্রে সুদের হারকে একটা রিজনেবল অবস্থায় আনা হবে। বেশি কমানো ঠিক হবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পোশাক শিল্প অনেক সুবিধা পায়। তবে তাদের মতো অন্যদের সুবিধা দিলে তারাও ভালো করবে। অন্যরা কর্পোরেট ট্যাক্স বেশি দেয়। আর পোশাক শিল্প কম দেয়। এই জন্য একটু বাড়িয়েছি।
অনুষ্ঠানে বাজেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থান করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মুনসুর এবং কেপিএমজি বাংলাদেশের সিনিয়র পার্টনার আদিব এইচ খান।
এসময় ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ৩ কারণে লোকাল ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকের ডিপোজিট গ্রোথ কমে গেছে। ২০১২ অর্থবছরে ১৯.৪ শতাংশ ডিপোজিট গ্রোথ ২০১৭ অর্থবছরে নেমেছে ৯.৫ শতাংশে। হাই নন পারফরমিং লোন (এনপিএল) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি এই সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটকে ডুবিয়ে দিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসকে দুর্বল করা হয়েছে। এই বন্ড মার্কেট ছাড়া প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়বে না। এখন এফডিআই কমার পাশাপাশি কমে গেছে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। এজন্য বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে সাইড লাইনে চলে যাচ্ছেন।
ওএফ