আজকের মধ্যে দাবি না মানলে সোমবার থেকে অনশন
আজকের মধ্যে সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
রোববার (২৪ জু্ন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৫ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংগঠনের পক্ষে এ ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়।
সম্পর্কিত খবর
পূর্বপশ্চিম বিশ্বকাপ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা না হলে আগামীকাল সকাল ১০ টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবে। এতে করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।
অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, সারা দেশে ৫ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পাঠদান করে শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫ থেকে ১০ বছর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা সারা দেশে উন্নয়নবঞ্চিত অবস্থায় জীবন যাপন করছে।
তিনি জানান, গত ১২ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তির জন্য বরাদ্দের কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। যার ফলে ননএমপিও শিক্ষক কর্মচারীর অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে নামে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারি ফেডারেশন।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা অনশন ভঙ্গ করে ফিরে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তখন তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।
সারাদেশে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাকে।
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব প্রতিষ্ঠানকে এখনো এমপিওভুক্ত না করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা।
/এসএম