• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

'পাঠাও' রাইডার ইয়াবা পরিবহনে

প্রকাশ:  ২৪ জুন ২০১৮, ১৪:৩৬ | আপডেট : ২৪ জুন ২০১৮, ১৪:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত তৎপরতায় নি্ত্যনতুন কৌশল খুঁজছে মাদক ব্যবসায়ীরা। রাজধানীতে মাদক পরিবহনে এবার রাইড শেয়ারিং সার্ভিস 'পাঠাও' রাইডারদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সম্পর্কিত খবর

    শনিবার (২৩ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে 'পাঠাও' রাইডার রানা আহমেদ ওরফে রাজুসহ (২৫) চার ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৩।

    আটককৃত হলেন-অলি আহমেদ (২৪), ইফতেখারুল ইসলাম (২৫) ও মোস্তফা কামাল। তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮টি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

    রোববার (২৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।

    তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় রাজধানীতে মাদক ব্যবসায়ী ও বাহকদের চলাচল এখন সীমিত। কিছু মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে মজুদ করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৩ সিও জানান, ইফতেখারুল কক্সবাজারের উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উখিয়ার স্থানীয় কিছু যুবকের বিলাসবহুল জীবন যাপন দেখে ইয়াবা ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হন তিনি। কারণ, তার ধারণা ইয়াবা ব্যবসায় দ্রুত লাভবান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়।

    তিনি নিজে মাদক ব্যবসায় জড়ানোর সম্পৃক্ত হবার পাশাপাশি কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবক ও রোহিঙ্গাদের ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজার থেকে বহন করে আনা ইয়াবা উত্তরার মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ইফতেখারুল। অন্যদিকে আটক অলির বাড়িও কক্সবাজারের উখিয়া থানার রাজাপালং গ্রামে। তিনি উত্তরার 'ফজিলত প্রোপার্টিজ' নামে একটি নির্মাণাধীণ প্রতিষ্ঠিনের সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অলির নিয়ন্ত্রিত ওই ভবনে কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা মজুদ রাখা হতো।

    মোস্তফা কামাল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা শরীফ ফার্মাসিউটিক্যালের মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। মোটা অঙ্কের টাকার লোভে ওষুধ বিপণন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি ইয়াবা পরিবহনের কাজেও যুক্ত হয়ে পড়েন। কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় পৌঁছে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পেতেন তিনি।

    রানা মূলত রাইড শেয়ারিং অ্যাপস 'পাঠাও' এর একজন রাইডার। তিনি রাইড শেয়ারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত গন্তব্যে ইয়াবা পৌঁছে দিতেন।

    লে. কর্নেল এমরানুল বলেন, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর যোগসাজশের তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তাদের নামও জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

    কয়েকজন চালকদের ইয়াবা পরিবহনের তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে এমরানুল বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে আমরা 'পাঠাও' কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। /এস এস

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close