• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশ:  ২৫ জুন ২০১৮, ০৯:৪৫
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন মঙ্গলবার (২৬ জুন)। নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুরে একদিকে যেমন উৎসব আমেজ বিরাজ করছে অপরদিকে রোববার (২৪ জুন) রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক ধরনের সুনসান নীরবতা ভর করেছে সর্বত্র।

নির্বাচনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা। সার্বিক নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সিটি করপোরেশন পরিচালনায় প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রস্তুত এলাকাবাসীও।

ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ সোমবার প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তারা এসব সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাবেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, রোববার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভোট গ্রহণের আগের দিন সোমবার থেকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মাঠে থাকবে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ইতোমধ্যে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে রোববার শেষ দিনের প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণার শেষ দিনে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের প্রচার প্রচারণায় মিছিল আর শ্লোগানে নিজ নিজ এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তাদের কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্টের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। প্রচার-প্রচারণা শেষ দিনে রোববার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। এবার এর দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। ১৫ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়োর কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ এবং পরে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ জুন থেকে পুনরায় ২য় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয় এবং সে অনুযায়ী ২৬ জুন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গাজীপুর,সিটি নির্বাচন,ভোটকেন্দ্র,নির্বাচনী সরঞ্জাম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close