অনুমোদন নেই ম্যাক্স হাসপাতালের
চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালটি যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।
রোববার (১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা জানান।
সম্পর্কিত খবর
ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ম্যাক্স হাসপাতালের শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে আসবে। প্রাথমিকভাবে ম্যাক্স হাসপাতালের লাইন্সেসে ত্রুটি পাওয়া গেছে। তারা অধিদফতর ও বিএমডিসির কোনো অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতাল চালাচ্ছে। এ বিষয় আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে রাতে নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় আড়াই বছরের শিশু রাইফার মৃত্যুর অভিযোগে তদন্ত করতে আসা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক বয়কট করে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা।
বৈঠক চলাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক নেতাদের অভিযোগ শোনেন। এসময় বিএমএর নেতা মুইজ্জুল আকবর চৌধুরী ও ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী আপত্তিকর আচরণ করলে সাংবাদিক নেতারা বৈঠক বয়কট করেন। পরে ম্যাক্স হাসপাতালের সামনে আধা ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
পরে বিক্ষোভ মিছিল করে সাংবাদিকরা নগরের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা এসে বৈঠক করেন।
বৈঠকে সাংবাদিক নেতারা ম্যাক্স হাসপাতাল ও বিএমএ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সামান্য জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আড়াই বছরের শিশু রাফিদা খান রাইফাকে। শুক্রবার রাতে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার পর খিঁচুনি বেড়ে দাঁত ভেঙে মুখ রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রাইফার। বিষয়টি টেলিফোনে হাসপাতালের ডাক্তারকে জানানো হলে তিনি রোগী না দেখেই সেডিল সাপোজিটর প্রয়োগ করতে বলেন। কর্তব্যরত ডাক্তার দেবাশীষ মাত্রা না দেখেই তা প্রয়োগ করতে বলেন নার্সকে। এটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাইফা। ভুল চিকিৎসা, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ভর্তি করানোর ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই লাশ হলো আড়াই বছরের রাইফা। ছোট্ট শিশু রাইফার এমন করুন মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সমকাল সাংবাদিক রুবেল খান, তার পরিবারসহ সবাই।
-একে