• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বেক্সিট বিরোধে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশ:  ১০ জুলাই ২০১৮, ০০:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (বেক্সিট) সম্পর্কিত নীতিমালা নির্ধারণে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস ডেভিস ও ইইউবিষয়ক দফতরের উপমন্ত্রী স্টিভ বাকেরের পদত্যাগের পর বরিস জনসন হলেন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার তৃতীয় সদস্য একই ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে টেরিজা মে’র পরিকল্পনার বিরোধিতা করেই পদত্যাগ করেছিলেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস। বরিস জনসনও একই সূত্র ধরে সোমবার পদত্যাগ করলেন। টেরিজা মে পার্লামেন্টে তার নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ভাষণ শুরুর কিছুক্ষণ আগে জনসন পদত্যাগ করেন। তার এ পরিকল্পনা নিয়ে বহু কনজারভেটিভ এমপি’ই ক্ষুব্ধ।

বরিস জনসনের পদত্যাগ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র জানান, সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত তার স্থলে আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হবে। কাজের প্রতি তার একনিষ্ঠতার জন্য বরিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকালেই নতুন ব্রেক্সিটমন্ত্রী হিসেবে ডোমিনিক রাবকে নিয়োগ দিয়েছেন তেরেসা।

এর আগে ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের বহু বিভক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার দিনব্যাপী বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর নিজের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তেরেসার পরিকল্পনায় সায় না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বরিস জনসন।

মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মন্ত্রিসভা থেকে দু্ইজন মন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনায় অর্ধদশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক এবং বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঐক্য ধরে রাখায় সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ পেল।

এ কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’ সাহসের সঙ্গে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে তার ‘বাণিজ্যবান্ধব’ ব্রেক্সিট নীতি চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর থাকবেন নাকি আরো মন্ত্রীর পদত্যাগ কিংবা নিজেরই পদত্যাগের দাবি ওঠার মুখে পড়বেন সেটিই প্রশ্ন।

২০১৬ সালের গণভোট অনুযায়ী যুক্তরাজ্য এখন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ মুখ জনসনের পদত্যাগের পর তেরেসার চার দিকে সংকট ঘণীভ‚ত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমনকি তাকে আস্থা ভোটের মুখেও পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংসদ সদস্যদের মধ্যেও ব্রেক্সিট নিয়ে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। যদি ৪৮ জন সংসদ সদস্য হাউস অব লর্ডসের ব্যাকবেঞ্চ কমিটির কাছে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করে চিঠি দেয় তাহলে তেরেসাকে আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ইইউ ছাড়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। কিন্তু এরপর যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কিরকম থাকবে এ বিষয়ে আলোচনায় কোনও সমঝোতা হয়নি।

এনই

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close