শিরোপা জেতার ফাইনালে ফ্রান্স
কর্নার কিক থেকে এমতিতির হেডে গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।বিরতি থেকে এসেই গোল পায় ফ্রান্স। ৫১তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জালে পাঠিয়েছেন স্যামুয়েল উমতিতি। দ্বিতীয়ার্ধে উমতিতির করা একমাত্র গোলে জয় পায় ফ্রান্স। বেলজিয়ামকে হতাশ করে এক যুগ পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। রাশিয়া বিশ্বকাপে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারাল ফরাসিরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন স্যামুয়েল উমতিতি। এবার তৃতীয়বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। এর আগে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে রানার আপ হয়েছিল। অন্যদিকে, বেলজিয়াম এবার দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল। বুধবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এদিন মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুলাই।
সম্পর্কিত খবর
খেলার শুরু থেকেই বেলজিয়াম বেশ গুছিয়ে খেলতে থাকে। তাদের সংকল্প বুঝি বিশ্বকাপ সাথে নিয়েই ফিরবে তারা। ওদিকে সাবেক চ্যাম্পিয়নরাও কম যায় না। তারা ও তাদের পূর্বসুরিদের দেখানো পথে হেটে আর একবার দেশের নামের সাথে বিশ্বকাপ যুক্ত করতে চান। তবে ফ্রান্স থেকে বেলজিয়াম এগিয়ে ছিল বেশ।
১৯তম মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের একটি দুর্দান্ত শট গোলপোস্টের সামান্য সামনে থেকে হেড করে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। ২১তম মিনিটে বেলজিয়ামের সামনে আবারও একটি সুযোগ আসে। কিন্তু গোলরক্ষক হুগো লরিসের প্রচেষ্টায় বেঁচে যায় ফ্রান্স। প্রায় ১৪ গজ দূর থেকে টবি আল্ডারওইরেল্ডের দুর্দান্ত একটি শট ডাইভ দিয়ে সেভ করেন লরিস।
৩১তম মিনিটে ফ্রান্সের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুডের হেডে বল চলে যায় সাইডবারের সামান্য পাশ দিয়ে। ৩৯তম মিনিটে আবারও সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন প্যাভার্ড। কিন্তু বল গোলরক্ষক কোর্তোয়ার গায়ে লেগে চলে যায় গোললাইনের বাইরে। চেষ্টা সত্যেও কোন গোলের দেখা পায়নি কোন দল। প্রথমার্ধে খেলা বেলজিয়ামের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। শতকরা ৫৮ শতাংশ বল নিজদের দখলে রাখতে সমর্থ্য হয় বেলজিয়াম। বাকী ৪৮ শতাংশ বল ফ্রান্সের পায়ে ছিল। গোলশূন্যেই বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফানালের প্রথমার্ধ শেষ করে দুই ফাইনাল প্রত্যাশী দল।
দ্বীতিয়ার্ধে শুরুতেই দুই দলের লক্ষ্য গোল করার দিকে। আর তাই আক্রমণটা শুরু হয় বেশ জোড়াল ভাবেই। তবে তার প্রমাণ ফ্রান্স দিয়ে দিল ৫১ মিনিটেই। সেমিফাইনালের প্রথমগোল আসে স্যামুয়েল উমতিতির পা থেক। আর এতেই ফাইনালের দিকে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বেশ চাপে পড়ে যায় বেলজিয়াম। আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্সের গোল বারে। ৬৩ মিনিটে পল পগবাকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড। তারই ধারাবাহিকতায় ৭১ মিনিটে ফ্রান্সের মাতুইদিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন টবি অ্যালডারউইয়ারল্ড। ৮০ মিনিটে বেলজিয়ামের ম্যারুয়েন ফেলাইনির পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় ক্যারিস্কোকে।
৮৭ মিনিটে এনগোলা কন্তে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন। খেলা অতিরক্ত সময়ে গড়ায়। কিন্তু আর কোন গোলের দেখা কেউ পায় না। পুরো খেলায় ৬০ শতাংশ বল নিজদের দখলে রেখেও গোল পেল না বেলজিয়াম। আর এতেই ১-০ গোলে উড়ন্ত বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফাইনালে পা দিল দুরন্ত ফ্রান্স।
/এস কে