উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না: তামিম
সৌম্য সরকারের অফ ফর্মের কারণেই এনামুল হক বিজয়কে স্মরণ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম ওয়ানডেতে সুবিধা করতে পারেননি এ ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেছেন দুই বন্ধু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের ভীতি কাটাতে এ দুই ব্যাটসম্যান খেলেন দায়িত্ব নিয়ে।
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান। ১২১ বলে ৬টি চারে সাজানো ৯৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। তামিম ও সাকিব দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ২০৭ রান। এটা বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এটা মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ২শ’ পার হওয়া জুটি। এর আগে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ ২২৪ রান করেছিলেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে; নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
সম্পর্কিত খবর
এরপর তামিমকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন সাব্বির। তিনি মাত্র ৩ রান করে ফিরে আসেন। তবে তামিমের সাথে দারুন সঙ্গ দেন মুশফিক। তিনি মাত্র ১১ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হন। আর এক বলের জন্য উইকেটে এসে সেই বলেই চার মেরে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে এই সবার পাশে এক প্রান্তে দলের মূল ভরসা হয়ে ছিলেন যথারীতি তামিম ইকবাল। ইনিংস শুরু করতে এসে ৫০ ওভার পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৬০ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৩০ বলের দৃষ্টি নন্দন এক ইনিংস খেলে অপরাজিত অবস্থায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম।
ইনিংসটিকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন প্রশ্নের জবাবে দেশসেরা ওপেনারের নির্লিপ্ত উত্তর, যখন একটি ইনিংস দলের জয়ে অবদান রাখে, তখন সেটা সবসময়ই স্পেশাল কিছু।
পরিকল্পনা করেই খেলেছেন জানিয়ে তামিম বলেন, আমরা যখন ব্যাটিং করতে আসি, এটা মোটেই সহজ উইকেট ছিল না। আমাদের শক্তিশালী অবস্থানে যেতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রথম ২৫ ওভার সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। বল টার্ন করছিল এবং ফাস্ট বোলাররাও সাহায্য পাচ্ছিল। তাই আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল যতটা সম্ভব সময় খেলে যাওয়া, স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে।
তিনি বলেন, আমাদের মনে মনে একটা লক্ষ্য ছিল, যেটা আমরা মুশফিকের ব্যাটিংয়ে পেয়ে যাই। আমরা আসলে লক্ষ্যটা পার করে ২০ রান বেশি করতে পেরেছি।
/অ-ভি