‘সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই কি আইনের উর্ধ্বে?’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উসকানি ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপিসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো। শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।
তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দাবি, শহিদুল আলম গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে উদ্যত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
সম্পর্কিত খবর
এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার (১০ আগস্ট) নিজস্ব ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন,
‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কর্মীদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করতো। তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উস্কে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম?
আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশী বন্ধুরা ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন। শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি আজ শহিদুল আলমকে আইনের উর্ধে রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমি সহ সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের উর্ধে?
আমি যেই উদাহরণ দিয়েছি, শহিদুল আলম ঠিক তাই করেছেন। তার দেয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পরে এবং পুলিশের উপর ও পার্টি অফিসে হামলা চালায়। একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কর্মীরা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আমাদের এক কর্মী তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন।
বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’
-একে
