‘বিএনপি-জামাতের কেউ তো একবার দেখতে গেলো না’
এই যে বিএনপি জামাত নিরাপদ পরিবহন আন্দোলনকে গুজব ছড়িয়ে উস্কাইলো, অনুপ্রবেশকারী ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংস করলো, আওয়ামী লীগ অফিসে আক্রমণ করাইলো- আখেরে তাদের লাভ কি হলো?
অহিংস আন্দোলন সহিংস হইলো। দুই পক্ষেরই অনেকেই আহত হলো। বিএনপি- জামাতের কোনো নেতা তো একবার তাদের দেখতে হাসপাতালে পর্যন্ত গেলো না। যুদ্ধাপরাধীদের জন্য তাদের সব আইনজীবীরা সবসময় প্রস্তুত থাকলেও গ্রেফতারকৃতদের পক্ষে একজনও দাড়াইলো না। কোনো প্রকার সাহায্যের হাতও বাড়াইলো না। অথচ তাদেরকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসার ফন্দি এঁটেছিলো।
সম্পর্কিত খবর
সেই আবার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপরই পড়েছে।গত মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সেখানে দলের একজন কর্মী এবং চারজন শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খোঁজখবর নিলেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার কথাও বললেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম আকিব দেখতে গিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আকিবের চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখে আসলাম গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা রুবেল রানাকে। গিয়ে অনেকটাই অবাক হলাম তার শরীরে চাপাতি এবং শাবল দিয়ে কুপিয়েছে। আরো অবাক হলাম যখন শুনলাম ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৪০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। যা কোনো মিডিয়ার সংবাদে দেখতে পাইনি।
মূল বিষয় হলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সরকার সমর্থিতরা। পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে গেলো বিএনপি-জামাত।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব
( লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া)