• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘পালাবার পথ খুঁজছেন খালেদা জিয়া’

প্রকাশ:  ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৩২ | আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৩৮
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার দেশবাসীর জানা আছে। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। এখন নির্বাচনে না এসে পালাবার পথ খুঁজছেন। কারণ মাঠে নামলে জবাব দিতে হবে। পঁচাত্তরের খুনি, যুদ্ধাপরাধী, বাংলা ভাইদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না মানুষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামসমুদ্র বন্দরের স্বক্ষমতা বৃদ্ধিতে বে টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে চেক হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন, গুলি করে মানুষ হত্যা করেছেন। খুন যদি পাপ হয়, ধর্ষণ যদি পাপ হয়, মিথ্যাচার যদি পাপ হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে বিএনপি-জামায়াত মহাপাপী দল। এই পাপীরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তাদের সময়কার উন্নয়ন দেখুন আর এখনকার উন্নয়ন দেখুন।’

শাজাহান খান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ায় খালেদা জিয়া ঈর্ষান্বিত হয়ে কি বলেছিলেন মনে আছে? তিনি বলেছিলেন, পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। আপনারা কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কথা হলো পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়া পর্যন্ত যদি খালেদা জিয়া বাঁচেন এবং জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। দয়া করে, তিনি যেনো পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে না যান। বিএনপির নেতাদেরও আমি বলতে চাই, যারা দক্ষিণাঞ্চলে আছেন, আপনাদের নেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা তা অনুসরণ করবেন।’

শাজাহান খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১০ বছর ক্ষমতায় আছেন, খালেদা জিয়াও ছিলেন। খালেদা জিয়ার ১০ বছরের উন্নয়ন কাজ দেখেন, আর শেখ হাসিনার ১০ বছরের উন্নয়ন কাজ দেখেন। তাহলে বুঝতে পারবেন, কখন বেশি উন্নয়ন হয়েছে। নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার সময়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে।’

নৌমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তার সদিচ্ছায় চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে।

তিনি বলেন, বন্দর তার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গত ১০ বছরে নিজস্ব অর্থে ৪ লাখ বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করেছে। অভ্যন্তরীণ ১ হাজার ২০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন এসেছে, সাতটি এ বছরের মধ্যে আসবে। ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, টাগবোট, অ্যাম্বুল্যান্স শিপ কেনা হয়েছে। কারশেড, অকশন শেড নির্মাণসহ সিটিএমএস, ভিটিএমআইএস চালু হয়েছে। বন্দরের রিজার্ভ এখন ১৪ হাজার কোটি টাকা। বে টার্মিনালের জন্য ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জমি অধিগ্রহণের জন্য।

রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মোহনা হলে বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

-একে

শাজাহান খান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close