'সেদিন হোন্ডায় চড়ে বি. চৌধুরী না পালালে বিএনপি আজ তাকে পেত না'
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী হাত বাড়িয়ে দেয়ায় বিএনপি নেতাদের শোকরানা নামাজ আদায়ের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তিনি বলেছেন, বিকল্প ধারা নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করার অপরাধে বিএনপির হামলা থেকে সেদিন হোন্ডায় চড়ে তিনি পালাতে না পারলে আজ হয়তো বিএনপি তাকে পেত না। বিএনপি এখন সেই বদরুদ্দোজার হাত ধরে উপরে উঠে আসার চেষ্টা করছে। তাই বিএনপির উচিত বেশী বেশী শোকরানা নামাজ আদায় করা। তবে ভবিষ্যতে আবারো তাকে বিএনপি “দৌড়ের উপর” রাখবে কিনা, সেটাই ভাববার বিষয়।
সম্পর্কিত খবর
রবিবার জেলা আইনজীবি সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এ কথা বলেন। এর আগে জেলা আইনজীবি সমিতির ডিজিটাল বার ভবনের উদ্বোধন করেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা বারের সভাপতি এডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-১আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর এমপি, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সংরক্ষিত আসনের এমপি ফেরদোস আরা বাবলী, আইন মন্ত্রনালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা স্বেচ্চায় পদত্যাগ করেছিলেন। এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগের ব্যাপারে দুদক তদন্ত করছে। তারা মামলা করলে সরকার সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না। আইনমন্ত্রী এসময় নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতির বিভিন্ন সমস্যা ও দাবীর ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এমপি আরো বলেন, এদেশের কিছু ‘ডক্টর-ফক্টর’ আছেন যারা স্বপ্ন দেখছেন দেশে নতুন কিছু ঘটবে। এরা দেশের মাটিতে বসে বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে, সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে খেলতে চাচ্ছে। তাদের বিরুেদ্ধ কেন মামলা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন রেখে শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব ষড়যন্ত্র স্বমূলে উৎপাটন করা হবে। এখন আবার বি চৌধুরী তাদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি ২০১৪ সালের মত যদি জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ পুড়িয়ে মেরে এদেশের মানুষের শান্তি ও জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করা হয় তবে জনগনকে সাথে নিয়েই সেই ষড়যন্ত্র রোধ করা হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবি সমিতির শত শত সাধারণ সদস্য, শিক্ষানবীস আইনজীবিসহ জেলা আদালতের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপিপন্থী ১১জন আইনজীবি উক্ত অনুষ্ঠান বর্জন করে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।